Jharkhand MLAs: ‘CID-র অভিযোগ ভিত্তিহীন’, দাবি ঝাড়খণ্ড-যোগে আটক মহেন্দ্র আগরওয়ালের
Jharkhand: আটক মহেন্দ্র আগরওয়ালের বক্তব্য, সিআইডির আনা যাবতীয় অভিযোগ ভিত্তিহীন। ঝাড়খণ্ডের বিধায়কদের গাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া টাকার সঙ্গে তাঁর যোগ থাকতে পারে যে সন্দেহ রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থা করছে, সেই সম্পর্কে এমনই মন্তব্য করলেন আটক অফিস মালিক।
কলকাতা : ঝাড়খণ্ডের তিন বিধায়কের গাড়ি থেকে লাখ লাখ টাকা উদ্ধারের ঘটনায় তদন্তে নেমেছে সিআইডি। সেই সূত্র ধরে মঙ্গলবার বিকানের বিল্ডিং-এর একটি অফিসে হানা দিয়েছিলেন সিআইডি আধিকারিকরা। সেখানে একটি তালাবন্ধ অফিসের দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে তদন্তকারী আধিকারিকরা উদ্ধার করেন প্রায় তিন লাখ টাকা। ওই অফিসের মালিক মহেন্দ্র আগরওয়ালকে ইতিমধ্যেই আটক করেছে সিআইডি। তবে আটক মহেন্দ্র আগরওয়ালের বক্তব্য, সিআইডির আনা যাবতীয় অভিযোগ ভিত্তিহীন। ঝাড়খণ্ডের বিধায়কদের গাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া টাকার সঙ্গে তাঁর যোগ থাকতে পারে যে সন্দেহ রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থা করছে, সেই সম্পর্কে এমনই মন্তব্য করলেন আটক অফিস মালিক।
আটক মহেন্দ্র আগরওয়াল নামে ওই ব্যক্তির আইনজীবীর দাবি, সিআইডি জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হওয়ার জন্য বুধবার নিজেই ভবানী ভবন গিয়েছিলেন মহেন্দ্র। এরপর সেখানে তিনি অসুস্থ বোধ করতে শুরু করেন। তখন তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হয়। প্রসঙ্গত, পরে মহেন্দ্র আগরওয়ালকে এসএসকেএম-এর জরুরি বিভাগ থেকে ইনস্টিটিউট অব সাইকিয়াট্রির জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়। জানা গিয়েছে, মানসিক চাপ সংক্রান্ত বিষয়ের কারণে তাঁকে ইনস্টিটিউট অব সাইকিয়াট্রিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। মহেন্দ্র আগরওয়ালের স্বাস্থ্য খতিয়ে দেখার পর জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন, আটক ব্যক্তির সিটি স্ক্যান, পালস, রক্তচাপ সবই স্বাভাবিক রয়েছে। তাঁকে নিয়ে যাওয়া যেতে পারে বলেও সিআইডি আধিকারিকদের জানিয়ে দিলেন আইওপি’র জরুরি বিভাগের চিকিৎসকেরা।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই হাওড়ার পাঁচলা থানা এলাকায় জাতীয় সড়কের উপর আটকানো হয়েছিল কালো রঙের একটি গাড়ি। গাড়িতে লাগানো ছিল এমএলএ স্টিকার। গাড়ির ভিতর থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল লাখ লাখ টাকা। গাড়িতে তখন ছিলেন ঝাড়খণ্ডের তিন কংগ্রেস বিধায়ক। ওই টাকার উৎস কী, তার উত্তরে সন্তুষ্ট ছিলেন না আধিকারিকরা। এরপরই তাঁদের আটক করা হয়। ঘটনার পরের দিনই ওই তিন বিধায়ককে সাসপেন্ড করে ঝাড়খণ্ড কংগ্রেস।