Manik Bhattacharya: যত রহস্য মানিকের ফোল্ডারে! ৪০০০ জনের মধ্যে চাকরি হয়েছে ২৫০০ জনের, বাকিদের ‘স্ট্যাটাস’ খুঁজছে ইডি
Manik Bhattacharya: ফোল্ডারে ৪০০০ হাজার জনের নাম রয়েছে, তার মধ্যে ২৫০০ জনের চাকরি হয়েছে বলে পর্ষদ জানিয়েছে।
কলকাতা: প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের বাড়িতে যখন তল্লাশি চালানো হয়েছিল, তখন বেশ কয়েকটি সিডি বাজেয়াপ্ত করেন ইডি আধিকারিকরা। তার মধ্যে একটি সিডিতে বেশ কয়েকটিতে ফোল্ডার ছিল। সেই ফোল্ডারে পাওয়া নথির ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার হাতে আসে একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। ফোল্ডারে ৪০০০ হাজার জনের নাম রয়েছে, তার মধ্যে ২৫০০ জনের চাকরি হয়েছে বলে পর্ষদ জানিয়েছে। বাকিদের কী স্ট্যাটাস, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে, ইডি আধিকারিকদের আইনজীবী আদালতে জানান। ১৪ দিনের হেফাজত শেষে মঙ্গলবার মানিক ভট্টাচার্যকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করা হয়। এদিনের সওয়াল জবাবের সময়ে এই ৪০০০ চাকরিপ্রার্থীর বিষয়টি উঠে আসে।
এদিন ইডি-র আইনজীবী আদালতে জানান, তল্লাশির সময়ে ফোল্ডার থেকে চার জনের নাম পাওয়া গিয়েছিল। তারপর পর্ষদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তদন্তকারীরা। দেখা যায় ওই চার হাজার জনের মধ্যে আড়াই হাজার জনের চাকরি হয়েছে। তদন্তকারীরা মনে করছেন, এই আড়াই হাজার জন টাকা দিয়েই চাকরি পেয়েছেন, সেটা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। বাকি দেড় হাজার জনের অবস্থানও বর্তমানে কী, সেটাও খুঁজছেন।
আগেই ইডি আদালতে দাবি করেছে, “মানিকের ছেলের অ্যাকাউন্টে ২ কোটি ৬৪ লক্ষ টাকার হদিশ মিলেছে। ২০১৮ সালে বেঙ্গল ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের থেকে নেওয়া হয় টাকা। মানিকের পরিবারের সদস্যদের বেনামে জয়েন্ট অ্যাকাউন্টে প্রচুর টাকা আছে।” ইডি আগেই উল্লেখ্য করেছিল, মানিকের কম্পিউটারের ফোল্ডারে ৬১ জনের নাম ছিল। তার মধ্যে ৫৫ জন টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছে বলে ইডি দাবি করে। আদালতে এমন তথ্য পেশ করেন ইডি আধিকারিকরা।
এর আগে আরও বিস্ফোরক তথ্য উঠে আসে ইডি আধিকারিকদের হাতে। দাবি করা হয়, “মানিক ভট্টাচার্যর বাড়ি থেকে একটি চিঠি পাওয়া যায়। যে চিঠি মানিক ভট্টাচার্য ও মুখ্যমন্ত্রীকে পাঠানো হয়েছিল।” মাথা পিছু ৭ লক্ষ টাকা করে নিয়ে ৪৪ জনকে চাকরি দেওয়া হয়, সেটাও চিঠিতে উল্লেখ ছিল বলে আদালতে ইডি উল্লেখ করেছিল। এরপরই উঠে আসে আরও একটি বিষয়। ঘটনাক্রম অনুযায়ী, মানিকের ছেলের অ্যাকাউন্টে যে ২ লক্ষাধিক টাকার হদিশ মিলেছিল, সেটারও তদন্ত করতে গিয়ে দেখা যায়, সেই বেঙ্গল ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের থেকে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পরিবর্তে কোনও পরিষেবা পাননি ওই সংস্থা। কিন্তু কেন টাকা দেওয়া হয়েছিল? সেই বিষয়টি খুঁজে দেখছেন তদন্তকারীরা। সেটিও নিয়োগে বেনিয়মের টাকা বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা।
এছাড়াও এদিন ইডির তরফে আদালতে আরও একটি বিষয় উল্লেখ করা হয়। মানিকের একটি অ্যাকাউন্টের খোঁজ মিলেছে। যেটি মানিকের স্ত্রীর বলে জানা যাচ্ছে। সেটি একটি জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট। মৃত্যুঞ্জয় নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট। যিনি বর্তমানে মৃত। সেই ব্যক্তির নাম এখনও সরানোই হয়নি। ওই অ্যাকাউন্ট থেকে তিন কোটি টাকার হদিশ মিলেছে। গোটা বিষয়টি ইডি এদিন আদালতে জানায়।