AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Dengue Fear: হোটেলের রান্নার জলে কিলবিল করছে মশার লার্ভা! বাস স্ট্যান্ডের জমা জলেও ডেঙ্গি আতঙ্ক

Mosquito Larvaes: ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, উদ্বেগ বাড়ছে বিধান নগর পৌর নিগমের প্রশাসকদের। বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে খতিয়ে দেখা হয় কোথায় জল জমে রয়েছে।

Dengue Fear: হোটেলের রান্নার জলে কিলবিল করছে মশার লার্ভা! বাস স্ট্যান্ডের জমা জলেও ডেঙ্গি আতঙ্ক
বাস স্ট্যান্ডে মিলেছে মশার লার্ভা (নিজস্ব চিত্র)
| Edited By: | Updated on: Oct 26, 2021 | 3:37 PM
Share

কলকাতা : একদিকে উর্ধ্বমুখী করোনা সংক্রমণ, অন্যদিকে শহরে বাড়ছে ডেঙ্গির প্রকোপ। বিধাননগর পুর এলাকায় ইতিমধ্যেই অনেকে আক্রান্ত হয়েছে ডেঙ্গিতে। আজ মঙ্গলবার এলাকার বিভিন্ন জায়গায় পরিদর্শনে গিয়ে চোখ কপালে পুর কর্তাদের। করুনাময়ী বাস স্ট্যান্ডের মতো জায়গায় মিলল মশার লার্ভা। শুধু তাই নয়, বাস স্ট্যান্ডের চারপাশেই ভয় পাওয়ার মতো ছবি দেখা গেল। হোটেলগুলির ড্রামে রাখা জলে কিলবিল করছে লার্ভা। সেই জলেই নাকি হয় হোটেলের রান্না!

ডেঙ্গি নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে আজ অভিযানে নেমেছিল বিধাননগর পুর নিগমের স্বাস্থ্য বিভাগ। বিধাননগর পুর নিগম এলাকায় চলতি মাসে এখনও পর্যন্ত ৩৭ জন ডেঙ্গি আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত ছিল এই সংখ্যাটা ছিল ২৫। সেখানে শুধু অক্টোবর মাসেই আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে একধাক্কায় অনেকটাই। মাসের ২৫ তারিখের মধ্যে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ৩৭ ছুঁয়েছে। আর তাতেই দুশ্চিন্তার ভাঁজ পড়েছে পুর নিগমের কর্তাদের।

ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়াতেই কারণে তড়িঘড়ি অভিযানে নেমেছে বিধাননগর পুর নিগমের স্বাস্থ্য দফতর। স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিক ও পুর নিগমের দায়িত্ব প্রাপ্ত প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্যরা এ দিন বিভিন্ন জায়গা পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন করা হয় করুনাময়ী বাস স্ট্যান্ড, ডিএল ব্লকের মতো জায়গা। শুধু তাই নয় মশার তেলও ছড়ানো হয়। খতিয়ে দেখা হয় কোথায় জল জমে রয়েছে।

করুনাময়ী বাস স্ট্যান্ডের ইন্টারন্যাশনাল বাস টার্মিনার্সে পাওয়া গেল ডেঙ্গি মশার লার্ভা। টায়ারের মধ্যে ফেলে দেওয়া বিভিন্ন জিনিসপত্র ও জমে থাকা জল পরীক্ষা করে দেখা হয়। পাওয়া যায় লার্ভা। পাশাপাশি করুনাময়ী বাস টার্মিনার্সের পিছনে যে হোটেলগুলি আছে, সেখানে গিয়ে দেখা যায় ভয়ানক ছবি। এই হোটেলগুলোতে যে ড্রামে করে জল রাখা হয়েছে, সেই ড্রামের মধ্যে প্রচুর পরিমানে লার্ভা পাওয়া গিয়েছে। আর এই জল থেকেই নাকি রান্না করা হয়। হাতও ধোয়া হয়। পাশের ড্রেনের মধ্যেও প্রচুর লার্ভা পাওয়া গিয়েছে। দুদিনের মধ্যে সব পরিষ্কার করার কথা বলা হয়েছে। না হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়।

বিধাননগর পুর নিগমের পুর প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্য প্রণয় রায় এ দিন পরিদর্শণের পর বলেন, ‘আমরা দেখেছি জমা জলে প্রচুর মশা। এখান থেকে বহু বাস ছাড়ে, ফলে পড়ে থাকা টায়ারে জল জমার সম্ভাবনা থাকে। এসে সেটাই দেখা গেল। এগুলোই ডেঙ্গি মশার আঁতুড়ঘর। দ্রুত পরিষ্কার জল করার কথা বলেছি।’

এ দিকে, দক্ষিণ দমদম পুরসভা এলাকায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২০, যার ফলে জরুরি বৈঠকে বসেছে দক্ষিণ দমদম পুরসভার প্রশাসক মণ্ডলীর চেয়ারম্যানসহ প্রসাশক মন্ডলী সদস্যরা। প্রত্যেক বছরই দেখা যায় দক্ষিণ দমদম পুরসভা এলাকায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা সবথেকে বেশি। সেই কারণে আজ জরুরি বৈঠকে বসেছেন পুরসভার প্রশাসক মন্ডলীর চেয়ারম্যান পুর প্রশাসক পাঁচু রায়।

গত বছর করোনারা প্রকোপের মাঝে ডেঙ্গি জ্বর খুব বেশি ছড়ায়নি। সেই সঙ্গে মনে রাখতে হবে, গত বার এত বেশি বৃষ্টিও হয়নি। ডেঙ্গি মশাবাহিত রোগ হওয়ার কারণে জমা জলে ডেঙ্গির মশা জন্ম নেয় সবথেকে বেশি। ঠিক যে কারণে ডেঙ্গি থেকে বাঁচার জন্য জল যাতে কোথাও না জমে সে দিকে নজর দিতে বলা হয়। কিন্তু বর্তমানে যা পরিস্থিতি, তাতে গোটা দক্ষিণবঙ্গেই জল জমে একাকার পরিস্থিতি। তাই ডেঙ্গি নিয়ে বেড়েছে উদ্বেগ।

আরও পড়ুন : Teacher Recruitment Notice: টেট উত্তীর্ণদের জন্য সুখবর! নিয়োগ নিয়ে বড় ঘোষণা পর্ষদের, জারি হল বিজ্ঞপ্তি