Chinese Manja : চিনা মাঞ্জার মরণফাঁদ, মা ফ্লাইওভারে গুরুতর আহত পুলিশকর্মী; ভরতি হাসপাতালে
Maa Flyover accident : ডিউটি সেরে থানা থেকে ফিরছিলেন তিনি। সেই সময়েই দুর্ঘটনাটি ঘটে। ঘুড়ির সুতোয় গলা কেটে যায় তাঁর। আহত দীপালি অধিকারীকে মিন্টো পার্কের এক বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে।
কলকাতা : ফের চিনা মাঞ্জার আতঙ্ক শহরে। মা ফ্লাইওভারে দুর্ঘটনার কবলে মহিলা এএসআই । আজ বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটে। আহত ওই মহিলা এএসআইয়ের নাম দীপালি অধিকারী। বয়স ৪০ বছর। ডিউটি সেরে থানা থেকে ফিরছিলেন তিনি। সেই সময়েই দুর্ঘটনাটি ঘটে। ঘুড়ির সুতোয় গলা কেটে যায় তাঁর। আহত দীপালি অধিকারীকে মিন্টো পার্কের এক বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। আপাতত সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি।
দীপালি অধিকারী পার্ক স্ট্রিট থানার এএসআই। ওই পুলিশকর্মীর বাড়ি নিউ টাউন এলাকায়। আজ বিকেলে মা ফ্লাইওভারের উপর দিয়ে যাওয়ার সময় ৪ নম্বর ব্রিজ এবং কোহিনুপ মার্কেটের মাঝামাঝি এলাকায় চিনা মাঞ্জার ‘কবলে’ পড়েন তিনি। সূত্রের খবর, গলায় বেশ অনেকটা কেটে যায় তাঁর। গুরুতর ভাবে আহত হয়েছেন তিনি। স্কুটি নিয়ে ফ্লাইওভারের উপরে পড়ে যান তিনি।
সঙ্গে সঙ্গে ওই এলাকায় কর্তব্যরত ট্রাফিক সার্জেন্ট তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। মিন্টো পার্কের কাছে এক বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে তাঁকে। ইতিমধ্যেই সেখানে তাঁর চিকিৎসা শুরু হয়েছে।
মা উড়ালপুলে বিগত সময়ে চিনা মাঞ্জার সুতোয় অনেকেই আহত হয়েছেন। বার বার প্রশ্ন ওঠে, যে চিনা মাঞ্জা সুতোকে সরকার নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে, তা কী ভাবে বিক্রি হয় বাজারে? অভিযোগ, মেটিয়াবুরুজ, এন্টালি, খড়দহে নাকি এই চিনা মাঞ্জার ব্যবসার রমরমা। পুলিশ কর্মী আহত হওয়ার পর নজরদারি বেড়েছে ঠিকই। তবে লুকিয়ে চুরিয়ে চিনা মাঞ্জা সুতো কিন্তু বিক্রি চলছেই বলে অভিযোগ।
চিনা মাঞ্জার বিপদ এড়াতে ইতিমধ্যেই মা উড়ালপুলে বিশেষ গার্ডরেল বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এখন যে রেলিং রয়েছে তার উপর দিয়ে এই গার্ডরেল বসানো হবে। তা বসাতে খরচ পড়বে ২০ লক্ষ টাকা। মা উড়ালপুলের যে অংশটি পার্ক সার্কাসের দিকে যায়, মূলত সেদিকেই চিনা মাঞ্জার দাপট বেশি। বিপদও এদিকটাতেই বেশি ঘটে। তাই বিশেষ গার্ডরেল বসছে এখানে।
মূলত নাইলনের সুতোর উপর ধাতু ও কাঁচের গুঁড়ো দিয়ে তৈরি করা হয় এই চিনা মাঞ্জা। এর মধ্যে সিন্থেটিক আঠাও ব্যবহার করা হয়। ফলে ব্লেডের মতো ধারাল হয়ে ওঠে এই মাঞ্জা। মুহূর্তে প্রাণ পর্যন্ত চলে যেতে পারে। এই চিনা মাঞ্জায় পাখিরও প্রাণের বিপদ হয় নিয়মিত। যেহেতু কাঁচের গুঁড়োর সঙ্গে সিন্থেটিক আঠা, ধাতুও মেশানো থাকে, ফলে জল লাগলেও তা পচে না। জাতীয় পরিবেশ আদালত ইতিমধ্যেই এই চিনা মাঞ্জাকে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকারক বলে ঘোষণা করেছে। দেশে এই চিনা মাঞ্জার বিক্রিও আইন বহির্ভূত। তার পরও কী ভাবে খাস কলকাতার বুকে এই মাঞ্জা সুতোর এমন রমরমা, তা নিয়ে প্রশ্নের অবকাশ থাকে।
আরও পড়ুন : TMC Candidate List: ‘এক ব্যক্তি এক পদ’ নীতি দূরে সরিয়েই ৬ বিধায়ককে টিকিট দিলেন মমতা