Partha Chatterjee: সেল কোম্পানি খুলেও টাকা সরিয়েছিলেন পার্থ? ইডি-র হাতে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য

Partha Chatterjee: সূত্রের খবর, কেবল, পার্থ নন, তাঁর জামাই, জামাইয়ের মামা, একাধিক নেতার যোগ রয়েছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে।

Partha Chatterjee: সেল কোম্পানি খুলেও টাকা সরিয়েছিলেন পার্থ? ইডি-র হাতে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য
পার্থ চট্টোপাধ্যায়
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 29, 2022 | 2:28 PM

কলকাতা: শিক্ষক দুর্নীতি কাণ্ডের তদন্তে একেবারে গোঁড়ায় পৌঁছতে চাইছেন তদন্তকারীরা। পার্থ-অর্পিতা ইস্যুতে পরতে পরতে বেরিয়ে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য়। সূত্রের খবর, কেবল, পার্থ নন, তাঁর জামাই, জামাইয়ের মামা, একাধিক নেতার যোগ রয়েছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে।

ইডি আধিকারিকদের সন্দেহ, অর্পিতা মুখোপাধ্যায় ছাড়াও একাধিক সেল কোম্পানি বা ভুয়ো সংস্থার নামে টাকা সরিয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। গোয়েন্দাদের পাওয়া সূত্র ধরে TV৯ বাংলার অন্তর্তদন্তে উঠে এসেছে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য। মিনিস্ট্রি অব কোম্পানি অ্যাফেয়ার্সের নথি অনুযায়ী, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী বাবলি চট্টোপাধ্যায় তিনটি সংস্থার ডিরেক্টর ছিলেন। ইম্প্রোলাইন কনস্ট্রাকশন, সৃজন এলিভেটার্স, ভিকরণ ইঞ্জিনিয়ারিং প্রাইভেট লিমিটেড- এই তিনটি কোম্পানির মধ্যএ ২টি নাকতলার আলাদা আলাদা ঠিকানায় নথিভুক্ত। রেজিস্ট্রার্স অব কোম্পানির নথি থেকে মেলা তথ্য অনুযায়ী, ইম্প্রোলাইনের বর্তমান ডিরেক্টর কল্যাণময় ভট্টাচার্য, যিনি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামাই। অন্যজন কল্যাণময়ের মামা কৃষ্ণচন্দ্র অধিকারী। তিনি পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলার বাসিন্দা। অ্যাক্রিসিয়েস কনসাল্টিং প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি সংস্থারও ডিরেক্টর এই দুজন। সংস্থার যে ঠিকানা দেওয়া হয়েছে, তাতে গিয়ে দেখা গেল অন্য চিত্র। ২৩৯/ এ এনএসি বোস রোড- এই ঠিকানাই নথিভুক্ত অ্যাক্রিসিয়েস কনসাল্টিং প্রাইভেট লিমিটেড নামে ওই কোম্পানির। কিন্তু আসলে ওই ঠিকানায় গিয়ে দেখা গেল সেখানে রয়েছে একটি বাড়ি। এবং সেটি জানা পরিবারের। তাঁরা এই কোম্পানি সংক্রান্ত কিছুই জানেন না।

ঠিক এই কারণেই ইডি আধিকারিকরা এই কোম্পানিগুলিকে তাদের র‍্যাডারে রেখেছেন। সূত্রের খবর, ইডি আধিকারিকরা মনে করছেন বিপুল অঙ্কের কালো টাকা এই ধরনের বিভিন্ন কোম্পানির মাধ্যমে সরানো হয়েছে বিভিন্ন ব্যবসা। তার মধ্যে মূলত রিয়েল এস্টেটের ব্যবসা রয়েছে।

অন্যদিকে, ইম্পোলাইন কনস্ট্রাকশনের প্রাক্তন যে ডিরেক্টররা ছিলেন, তাদের মধ্যে বাবলি চট্টোপাধ্যায় ছাড়াও আরও ২টি নাম সামনে এসেছে। একজন হলেন রাজীব দে, অন্যজন সুরঞ্জিতা জানা। মিনিস্ট্রি অব কোম্পানি অ্যাফেয়ার্সের ঘরে সুরঞ্জিতা জানার ঠিকানা ১/৭৮ নাকতলা, কলকাতা-৪৭। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে চারটি বাড়ি দূরে। সেই বিল্ডিংয়ের কেয়ারটেকারকে প্রশ্ন করে জানা গেল, রাজীব দে নামে ওই ব্যক্তি এই বাড়িতে থাকেন না। সুরঞ্জিতার কে, তা তাঁরা জানেন না।