JU VC Remove Controversy: যাদবপুরে সমাবর্তন নাটক! উপাচার্যের অপসারণে আচার্যকে তোপ

JU Convocation Uncertainty: পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল তথা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য সিভি আনন্দ বোস অপসারিত করেছেন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউকে। এর জেরে যাদবপুরে সমাবর্তন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। তবে উপাচার্যকে সরিয়ে দেওয়ার তীব্র সমালোচনা করেছে এ রাজ্যের শিক্ষামহল। অপসারণের খবর সামনে আসার পরই পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু রাজ্যপালের সমালোচনায় সরব হয়েছেন।

JU VC Remove Controversy: যাদবপুরে সমাবর্তন নাটক! উপাচার্যের অপসারণে আচার্যকে তোপ
ব্রাত্য বাসু, বুদ্ধদেব সাউ, সিভি আনন্দ বোস, ওমপ্রকাশ মিশ্রImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 23, 2023 | 10:00 PM

কলকাতা: সমাবর্তন অনুষ্ঠান নিয়ে নাটকীয় পরিস্থিতি তৈরি হল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। ২৪ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগের রাতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যকে সরিয়ে দেওয়া হল। রাজভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল তথা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য সিভি আনন্দ বোস অপসারিত করেছেন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউকে। এর জেরে যাদবপুরে সমাবর্তন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। তবে উপাচার্যকে সরিয়ে দেওয়ার তীব্র সমালোচনা করেছে এ রাজ্যের শিক্ষামহল। অপসারণের খবর সামনে আসার পরই পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু রাজ্যপালের সমালোচনায় সরব হয়েছেন। যাদবপুরের প্রাক্তন অধ্যাপক ও উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য ওমপ্রকাশ মিশ্রও এই পদক্ষেপকে ‘বেআইনি’ বলেছেন। অধ্যাপক সংগঠন জুটার সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায় সমাবর্তনের জটিলতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

যাদবপুরের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যকে রাজ্যপাল সরিয়ে দিয়েই এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি লিখেছেন, “সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানতে পারলাম, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যকে সরিয়ে দিয়েছেন রাজ্যপাল। রাজ্যের উচ্চশিক্ষার পরিবেশকে কীভাবে নষ্টের চেষ্টা চলছে তা দেখিয়ে দিচ্ছে এই ঘটনা। রাজ্যের নির্বাচিত সরকারের উপদেশকেও সম্মান জানাচ্ছেন না রাজ্যপাল। দেশের শীর্ষ আদালতের অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশকেও অমান্য করছেন তিনি।”

এ নিয়ে ওমপ্রকাশ মিশ্র বলেছেন, “চূড়ান্ত বেআইনি, অনৈতিক সিদ্ধান্ত। আগামীকাল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ হাজার ছাত্র সমাবর্তন নিতে যেতেন। তাঁদের জীবন নিয়েও ছেলেখেলা করছেন রাজ্যপাল। রাজ্য সরকার সমাবর্তনের নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু তা মানলেন না। এই সিদ্ধান্তকে আমরা ধিক্কার জানাই। সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, উনি আর কোনও উপাচার্যকে নিয়োগ করতে পারবেন না। তার মানে উনি কাউকে সরাতেও পারবেন না।”

অধ্যাপক সংগঠন জুটার সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায় এ নিয়ে বলেছেন, “আচার্যের অনুমতি নিয়ে এটা করা উচিত ছিল। এখন তা হয়নি। জটিলতা হয়ে গেল। সবথেকে সমস্যা হবে ছাত্র-ছাত্রীদের। বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান কর্তৃপক্ষকেই এর দায়িত্ব নিতে হবে। এ রকম ঘটনা আগে কখনও ঘটেনি।”