R G Kar Hospital: ৭ জনের মধ্যে ৩ জনের রিপোর্ট সঙ্কটজনক, আরজিকরের অনশনরত হবু ডাক্তাররা নাছোড় অনশনে সামিল
R G Kar Hospital: পরিকাঠামোগত উন্নয়ন-সহ একাধিক দাবিতে আন্দোলন দেখানো শুরু করেছিলেন পড়ুয়ারা। অভিযোগ, আন্দোলনের সময়ই অধ্যক্ষ তাঁদের সঙ্গে অত্যন্ত দুর্ব্যবহার করেন।
কলকাতা: আর জি করে (R G Kar Hospital) অনশনরত ডাক্তারি পড়ুয়াদের স্বাস্থ্যের অবনতি হতে শুরু করেছে। বর্তমানে সাত জনের মধ্যে, ৩ অনশনকারীর ইউরিন টেস্টে অ্যালবুমিন এবং কিটোন বডি পজিটিভ। সেই রিপোর্ট ইতিমধ্যেই সামনে এসেছে।
পরিকাঠামোগত উন্নয়ন-সহ একাধিক দাবিতে আন্দোলন দেখানো শুরু করেছিলেন পড়ুয়ারা। অভিযোগ, আন্দোলনের সময়ই অধ্যক্ষ তাঁদের সঙ্গে অত্যন্ত দুর্ব্যবহার করেন। এই তথ্যের সত্যতা প্রকাশ করতে একটি ভিডিয়ো সামনে আনেন পড়ুয়ারা। এই ঘটনাকে ঘিরে গত ৯ অক্টোবর দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে হাসপাতাল চত্বর। এরপর থেকে আন্দোলনের রূপরেখা অন্য দিকে মোড় নেয়।
৯ অক্টোবর রাতভর প্রিন্সিপ্যালকে ঘরে রেখে বিক্ষোভ দেখান ডাক্তারি পড়ুয়ারা। বিভিন্ন দাবিদাওয়া নিয়ে রাত থেকেই অধ্যক্ষ ও সুপারকে ঘেরাও করেন আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীরা। ভোরবেলায় ওই ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন অধ্যক্ষ। তাঁর পিছন পিছন চলতে থাকেন পড়ুয়ারাও। পরে পুলিশের গাড়িতে উঠে যান অধ্যক্ষ। সেদিন নাটকীয় ঘটনার সাক্ষী থাকে আরজিকর হাসপাতাল।
১০ই অক্টোবর ভোর পাঁচটা নাগাদ ঠিক এই ঘটনায় ছাত্রছাত্রীদের বিরুদ্ধে হেনস্থা অভিযোগ তোলেন প্রিন্সিপ্যাল। আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীদের দাবি, তাঁদের মিথ্যা দোষ দেওয়া হচ্ছে। প্রিন্সিপ্যালকে তাড়া করার কোনও উদ্দেশ্য তাঁদের ছিল না বলে দাবি ছাত্রছাত্রীদের।
আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীদের বক্তব্য, “স্যার প্রথমে দৌঁড়তে শুরু করেন, ছাত্রছাত্রীরা রিফ্লেক্সে দৌঁড়াতে শুরু করেন।” এই ঘটনার সত্যতা যাচাই করার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে সিসিটিভি ফুটেজ চাওয়া হলে কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে কোনও সদুত্তর পাওয়া যায়নি।
এরপর ১৪ অক্টোবরের ঘটনা। প্রিন্সিপালের পদত্যাগের দাবিতে আর জি করের পড়ুয়াদের শান্তিপূর্ণ মানববন্ধনে বহিরাগতদের আক্রমণ হয় বলে অভিযোগ। পুলিশের উপস্থিতিতে তিন ডাক্তারি পড়ুয়ার গায়ে হাত তোলা হয়। পুলিশ প্রথমে নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে বলে অভিযোগ করেন হবু চিকিত্সকরা। এমনকি দুষ্কৃতীদের পালাতে সাহায্য করে বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থলে করা ভিডিয়োর মাধ্যমে অভিযুক্তদের শণাক্ত করা যায়। যদিও তাঁদের এখনও গ্রেফতার করা হয়নি।
অভিযোগ, আন্দোলনের সময়ই অধ্যক্ষ তাঁদের সঙ্গে অত্যন্ত দুর্ব্যবহার করেন। এই তথ্যের সত্যতা প্রকাশ করতে একটি ভিডিয়ো সামনে আনেন পড়ুয়ারা। ডাক্তারি পড়ুয়াদের বাড়িতে পুলিশ পাঠানোর প্রতিবাদে ইন্টার্ন এবং হাউজ়ষ্টাফরা কর্মবিরতি ঘোষণা করেছিলেন গত ৯ই অক্টোবর। এই আন্দোলনে এবার পোস্ট গ্রাজুয়েট ট্রেনি (PGT) রাও পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। যদিও রোগীদের কথা মাথায় রেখে জরুরি পরিষেবা চালু রয়েছে এক্ষেত্রেও।
এদিকে, লাগাতার আন্দোলনের জেরে আরজিকরের চিকিত্সা পরিকাঠামো ব্যাহত হচ্ছে। কারণ সরকারি হাসপাতালে চিকিত্সা পরিকাঠামো তাঁদের ওপরই নির্ভর করে।