ফের চালু হচ্ছে প্যান্ট্রি কার পরিষেবা, ছাড়পত্র দিল রেল
IRCTC and Rail: করোনা (Corona) পরিস্থিতি, দীর্ঘ লকডাউনের মধ্যে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল প্যান্ট্রি কার (Pantry Car) পরিষেবা। দেশে ১০০ কোটি টিকাকরণের দিন রেল সূত্রে জানা গেল শীঘ্রই ফিরছে সেই পরিষেবা।
কলকাতা: করোনা (Corona) পরিস্থিতি, দীর্ঘ লকডাউনের মধ্যে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল প্যান্ট্রি কার (Pantry Car) পরিষেবা। দেশে ১০০ কোটি টিকাকরণের দিন রেল সূত্রে জানা গেল শীঘ্রই ফিরছে সেই পরিষেবা। আবার দূরপাল্লা ট্রেনের যাত্রীরা ট্রেনে যাত্রাকালীন তৈরি করা খাবার অর্ডার করতে পারবেন।
জানা গিয়েছে, প্যান্ট্রি কার পরিষেবা ফের চালু করার জন্য রেলের কাছে অনুমতি চেয়েছিল আইআরসিটিসি (IRCTC)। তাদের আবেদন মেনে নিয়েছে রেল বোর্ড। এই বিষয়ে চলতি মাসের মধ্যেই চূড়ান্ত ছাড়পত্র দিতে চলেছে রেল বোর্ড। আশা করা যাচ্ছে আগামী মাসের মাঝামাঝি থেকে ফের প্যান্ট্রি কার পরিষেবার সুবিধা পাবেন রেল যাত্রীরা।
ফের এই পরিষেবা শুরু হলে দূরপাল্লার যাত্রীদের বিশেষ সুবিধা হবে। আবার তাঁরা তৈরি করা খাবার অর্ডার করে খেতে পারবেন। করোনা পরিস্থিতিতিতে প্যান্ট্রি কার পরিষেবা কার্যত বন্ধ করে দেওয়া। সংক্রমণের দিকে নজর রেখে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রেল। তার পর থেকে রেলে শুকনো খাবার মিললেও তৈরি খাবার পাওয়ার কোনও বন্দোবস্ত ছিল না।
দেশজুড়ে প্রথম লকডাউন শুরুর পর থেকেই প্যান্ট্রি কার পরিষেবা তড়িঘড়ি বন্ধ করে দেয় রেল। করোনাভাইরাস মহামারির কারণে প্রথম কয়েক মাস যাত্রীবাহী ট্রেন পরিষেবা বন্ধ ছিল। পরে বিশেষ ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নেয় ভারতীয় রেল। তবে সেই সমস্ত ট্রেনে কোনও প্যান্ট্রি কার ছিল না। যাত্রীদের নিজেদের সঙ্গে খাবার নিয়ে যেতে হচ্ছে। করোনা পরিস্থিতি থেকে দেশ খানিক মুক্ত হওয়ার পর হয়ত হয়তো সিদ্ধান্ত বদল করল রেল।
করোনা পরিস্থিতির মধ্যে আইআরসিটিসি বিভিন্ন স্টেশনে শুকনো খাবার দেওয়ার পরিষেবা চালু করেছিল ই-ক্যাটারিংয়ের মাধ্য়মে। অর্থাৎ, যাত্রীরা অনলাইনে খাবারের অর্ডার দিলে নির্দিষ্ট স্টেশনে ট্রেন দাঁড়ালে সংশ্লিষ্ট কেটারিং সংস্থা সেই যাত্রীর কাছে খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন। এবার খুব তাড়াতাড়ি ই-ক্যাটারিংয়ের সঙ্গে রেলের পুরনো প্যান্ট্রি কার পরিষেবাও পাবেন যাত্রীরা।
আরও পড়ুন: COVID Vaccination: ১০০ কোটিতেই সমাপ্তি নয়, এখনও পথ বাকি অনেকটা! দেশের সামনে পরবর্তী লক্ষ্য কী কী?
সাধারণভাবে ট্রেনের একটি প্যান্ট্রি কারে রাঁধুনি এবং ওয়েটার-সহ ২০ থেকে ৩০ জন কাজ করেন। কমবেশি ৩৫০ জোড়া দূরপাল্লার ট্রেনে প্যান্ট্রি কার পরিষেবা ছিল। এর মধ্যে আছে মেল, এক্সপ্রেস, সুপারফার্স্ট, প্রিমিয়াম সার্ভিস ট্রেন রয়েছে। উল্লেখ্য ট্রেনের প্যান্ট্রিতে যাঁরা কাজ করেন, তাঁরা রেলের স্থায়ী কর্মী নন। বেসরকারি ঠিকাদারের অধীনে কাজ করে থাকেন। তাই ফের এই পরিষেবা চালু হলে তাঁদের রুজিরোজগারের সুরাহা হবে।
আরও পড়ুন: Farmers Protest: ‘আন্দোলনের অধিকার থাকলেও পথ আটকাতে পারেন না’, ‘সুপ্রিম’ পর্যবেক্ষণ