Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

সভাপতির বিরুদ্ধেই দিলীপকে নালিশ মোর্চা কর্মীদের, সৌমিত্র বললেন, ‘আমি খুব খুশি’

প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে খানিকটা নিরুত্তাপই শোনায় বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদকে

সভাপতির বিরুদ্ধেই দিলীপকে নালিশ মোর্চা কর্মীদের, সৌমিত্র বললেন, 'আমি খুব খুশি'
ছবি-ANI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 30, 2021 | 8:19 PM

কলকাতা: সৌমিত্র খাঁ-কে নিয়ে অস্বস্তি বেড়েই চলেছে বঙ্গ বিজেপির। দিনদুয়েক আগে যুব মোর্চার গ্রুপে বেঁধে যাওয়া বিবাদ নিয়ে এ বার সোজা রাজ্য নেতৃত্বের দ্বারস্থ হলেন মোর্চা কর্মীদের একাংশ। ই-মেল মারফৎ দিলীপ ঘোষদের কাছে সৌমিত্রর বিরুদ্ধে নালিশ জানানো হয়েছে। যেখানে একাধিক বিস্ফোরক অভিযোগ যুব মোর্চা সভাপতির বিরুদ্ধে এনেছেন সংগঠনেরই অন্যান্যরা। এই নিয়ে তাঁর প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে খানিকটা নিরুত্তাপই শোনায় বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদকে।

বিজেপি সূত্রে খবর, যুব মোর্চার জনা ছয়েক সদস্য সৌমিত্রর বিরুদ্ধে অভিযোগের ডালি সাজিয়ে রাজ্য নেতৃত্বকে এই ই-মেল করেছেন। যেখানে উল্লেখ পেয়েছে, যুব মোর্চাতে ‘ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি’ সৃষ্টি হয়েছে। এবং সংগঠনের সভাপতি ‘একনায়কতন্ত্র নীতি’ নিয়ে চলছেন। এখানেই শেষ নয় অভিযোগকারীদের আরও দাবি, দলীয় রীতিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সৌমিত্র নিজের ইচ্ছামতো মেয়েদের যুব মোর্চার কোর কমিটিতে পদ দিচ্ছেন। এবং বহু লড়াইয়ের সাক্ষী ও পুরনো মহিলা কর্মীদের উপেক্ষা করছেন। অভিযোগের তালিকায় রয়েছেন বনশ্রী মণ্ডল, ঝিলাম ব্যানার্জি, আরুষ সাউ, প্রিয়ঙ্কা শর্মা-সহ আরও অনেকে।

এই নিয়ে TV9 বাংলাকে যুব মোর্চার রাজ্য কমিটির আমন্ত্রিত সদস্য বনশ্রী জানান, “আমাদেরকে কিছু না জানিয়েই যুব মোর্চার হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেই কারণেই আমরা এখন বড়দের (উচ্চ নেতৃত্ব) কাছে এসেছি বিষয়টা জানাতে। বড়রা যা ভাল বুঝবেন এ বার করবেন।” ওই গ্রুপ থেকে বাদ পড়া আরেক সদস্য আরুষ সাউ বলেন, “ওনাকে কী কারণে যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি করা হয়েছে এটা জানতে চেয়েছিলাম। তারপরই আমায় বাদ দিয়ে দেওয়া হয়। তাই আমরা উচ্চ নেতৃত্বকে জানাচ্ছি। আমার ভরসা আছে যে উচ্চ নেতৃত্ব কোনও সিদ্ধান্ত নেবে। আমাদের গণতান্ত্রিক দলে স্বৈরতন্ত্র চলতে পারে না।”

এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাঁর কী প্রতিক্রিয়া সেটাও জানতে চাওয়া হয়েছিল সৌমিত্রর কাছে। TV9 বাংলাকে তিনি জানিয়েছেন, “যদি কেউ চিঠি লিখে থাকে, তবে আমি বলব একদম ঠিক কাজ করেছে। বিজেপি একটা গণতান্ত্রিক দল। রাজ্য সভাপতি বা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে তাঁরা বলতেই পারেন। এটা নিয়ে আমি খুব খুশি। কারণ, সংগঠন চালাতে হলে অভিযোগ থাকবে এটাই স্বাভাবিক। যে কেউ জানাতেই পারে।” আরও পড়ুন: নির্দেশিকা নবান্নর: বঙ্গেও ‘এক দেশ এক রেশন কার্ড’ চালু, কী কী বদল এল পদ্ধতিতে?