BJP Bengal: শুভেন্দু থাকবেন না, তাই অধিবেশনে নাও থাকতে পারেন বিজেপির কোনও বিধায়ক
BJP Bengal: বিরোধী দলনেতা না থাকলে যাবেন না বিধানসভায়, এমনটাই মত অনেক বিধায়কের।
কলকাতা: আগামী ১০ জুন থেকে শুরু হচ্ছে বিধানসভার অধিবেশন। কিন্তু সেই অধিবেশনে বিজেপি যোগ দেবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। পদ্ম শিবিরে কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে, বিরোধী দলনেতাকেই যেখানে সাসপেন্ড করা হয়েছে, সেখানে অধিবেশনে যোগ দিতে চান না দলের কোনও বিধায়কই। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি দলের তরফে। ১৭ জুন চলবে বিধানসভার এই অধিবেশন।
শুধু শুভেন্দু অধিকারী নয়, সাত জন বিজেপি বিধায়ককে সাসপেন্ড করা হয়েছে। সেই অনুসারে, এবারের অধিবেশনে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ সাত জন যোগ দিতে পারবেন না। সূত্রের খবর, বিজেপির কোনও বিধায়কই চাইছেন না অধিবেশনে যোগ দিতে। যত দিন পর্যন্ত না ওই বিধায়কদের সাসপেনশন তোলা হচ্ছে, তত দিন তাঁরা বিধানসভায় যেতে চান না। এ বিষয়ে বিধায়ক মনোজ টিগ্গা জানিয়েছেন, এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। দলের অন্দরে বৈঠক হবে, তারপরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কোনও কোনও বিধায়ক বলছেন, বিরোধী দলনেতাই যখন থাকবেন না, তখন কেন অধিবেশনে যাবেন তাঁরা!বিজেপি এই সিদ্ধান্তে অনড় থাকলে বিধানসভার কাজ ব্যাহত হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
বগটুই-কাণ্ডের পর বিধানসভা উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল। অধিবেশনের শুরুতেই বিজেপি বিধায়করা প্ল্যাকার্ড হাতে ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। অধ্য়ক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে ঘিরে নিরাপত্তারক্ষীদের একটি বেষ্টনী তৈরি হয়েছিল। কার্যত ধস্তাধস্তির ছবি দেখা গিয়েছিল। জামা ছেঁড়া থেকে ঘুষি, গালিগালাজ-সবই চলেছিল, রক্তাক্ত হন একাধিক বিধায়ক। হাসপাতালে ভর্তি হতে হয় অসিত মজুমদারকে। ওই ঘটনার জেরে সাসপেন্ড হন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পরে মনোজ টিগ্গা, দীপক বর্মা, নরহরি মাহাতো, শঙ্কর ঘোষকেও সাসপেন্ড করা হয়। আর সেই ঘটনাতেই ক্ষুব্ধ পদ্ম শিবির। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি এখনও। ১০ তারিখেই স্পষ্ট হবে, বিরোধীরা আদৌ বিধানসভায় যাবেন কি না।