এবার পুজোয় তন্তুজ, তন্তুশ্রী ,মঞ্জুষার পোশাক বিক্রি হবে ফ্লিপকার্ট ও অ্যামাজনে
Flipkart and Amazon: করোনা পরিস্থিতিতে অনলাইন বিপণনই এখন সাফল্যের অন্যতম পথ। আর সেই পথে এগিয়ে বাংলার তাঁতের শাড়ির ও পোশাকের সম্ভারকে বিখ্যাত ই-কমার্স সংস্থা অ্যামাজন, ফ্লিপকার্ট ইত্যাদির মাধ্যমে বিক্রির উদ্যোগ নিল রাজ্য সরকার।
কলকাতা: করোনা পরিস্থিতিতে অনলাইন বিপণনই এখন সাফল্যের অন্যতম পথ। আর সেই পথে এগিয়ে বাংলার তাঁতের শাড়ির ও পোশাকের সম্ভারকে বিখ্যাত ই-কমার্স সংস্থা অ্যামাজন, ফ্লিপকার্ট ইত্যাদির মাধ্যমে বিক্রির উদ্যোগ নিল রাজ্য সরকার।
পুজোর আর দেড় মাস বাকি। তবে রাজ্যে করোনা পরিস্থিতিতে দোকান বাজারে ভিড় নিয়ন্ত্রণে নজর দিয়েছে সরকার। তেমনি দোকান ও শপিং মলে গিয়ে কেনাকাটার পরিবর্তে ঘরে বসে অনলাইনেই পোশাক কিনতে বেশি আগ্রহী ক্রেতারা। তাই পুজোর শপিং অনলাইনে করতে উৎসাহিত করছে রাজ্যের ক্ষুদ্র শিল্প দফতর। দফতরের অধীনে থাকা তন্তুজ, তন্তুশ্রী, মঞ্জুষা, বঙ্গশ্রী, বিশ্ব বাংলার পোশাক ও ঘর সাজানোর খুঁটিনাটি এখন মিলবে অনলাইনে। অনলাইন বিক্রি বাড়াতে উদ্যোগ নিয়েছেন মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা।
এখন মূলত বিদেশ থেকে ক্রেতারা বালুচরি ও জামদানি শাড়ি আর স্কার্ফ অনলাইনে কেনেন। তন্তুজর বিক্রিবাটা তো বিদেশেও ছড়িয়ে পড়েছে। তবে স্থানীয় স্তরে তন্তুজ, তন্তুশ্রী ইত্যাদি সরকারি বিপণম অনলাইনে বিক্রি কমই হয়। তবে এখন এতেই জোর দিচ্ছে রাজ্য সরকার। ফ্লিপকার্ট, অ্যামাজনের মতো ই-কমার্স সাইটের মাধ্যমে বিক্রি হবে তন্তুজ, মঞ্জুষার জিনিসপত্র।
উল্লেখ্য, মঞ্জুষা, তন্তুশ্রী ও তন্তুজ শাড়ি হল রাজ্য সরকারের উদ্যোগ। বাজারে এই শাড়িগুলির যথেষ্ট চাহিদাও রয়েছে। আরও বেশি করে লোকের কাছে এগুলি পৌঁছে দিয়ে যাতে এই শিল্পের উন্নতি ঘটানো যায় সেবিষয়েই রাজ্যের এই উদ্যোগ বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী।
গত বছর লকডাউনের জেরে সে ভাবে দোকান খুলতে না পারলেও অনলাইনে ৩৪ লক্ষ টাকার ব্যবসা করেছে তন্তুজ। এর ৮০ শতাংশই এসেছে তাঁতের শাড়ি বিক্রি করে। বিক্রির তালিকায় রয়েছে বালুচরি, সিল্কও। আর সব মিলিয়ে গতবছর ২.৭ কোটি টাকার সামগ্ৰী বিক্রি হয়েছে। এবছর এপ্রিল থেকে জুলাই পর্যন্ত ৭৫ লক্ষ টাকার সামগ্ৰী বিক্রি হয়েছে। এবার রাজ্য ও দেশের মার্কেটে মঞ্জুষা, তন্তুশ্রী ও তন্তুজের পণ্য সামগ্রী ছড়িয়ে দিতে অনলাইন বিক্রির আরও বৃহত্তর উদ্যোগ নিচ্ছে রাজ্য। আরও পড়ুন: ‘নোটিস ঝুলিয়েই ক্ষান্ত থাকবে না পুরসভা,’ শহরের বুকে বেআইনি নির্মাণ নিয়ে খড়গহস্ত ফিরহাদ