অভিষেকের কলেজের বন্ধুদেরও নাকি সমন পাঠাচ্ছে সিবিআই-ইডি!
Abhishek Bannerjee: উল্লেখ্য, কয়লাকাণ্ডে সস্ত্রীক অভিষেক ব্যানার্জিকে তলব করে ইডি। ১ সেপ্টেম্বর অভিষেকের স্ত্রী রুজিরা এবং ৩ সেপ্টেম্বর অভিষেক ব্যানার্জিকে দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে সরব হয়েছিলেন তৃণমূল নেতারা। অভিষেকের মুখে শোনা গিয়েছিল আক্রমণের সুর।
কলকাতা: ‘প্রতিহিংসার রাজনীতি চলছে।’ তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Bannerjee)-র কলেজের বন্ধুদেরও সমন পাঠাচ্ছে সিবিআই (CBI) ও এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠক করে এমনই অভিযোগ করল তৃণমূল (TMC)।
এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়ের (Sukhendu Sekhar Roy) অভিযোগ, অভিষেক ও তাঁর স্ত্রীকে তো বটেই, তৃণমূলের সর্বসাধারণ সম্পাদকের কলেজের বন্ধুদের কাছেও পৌঁছে যাচ্ছে সিবিআই এবং ইডি। এবং গোটা ঘটনাকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা হিসাবে অবহিত করেছেন সুখেন্দু শেখর। একই সঙ্গে তাঁর অভিযোগ, একাধিক ফৌজদারি মামলা থাকা সত্ত্বেও অসমের হেমন্ত বিশ্বশর্মা বা বাংলার শুভেন্দু অধিকারীর মতো বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
উল্লেখ্য, কয়লাকাণ্ডে সস্ত্রীক অভিষেক ব্যানার্জিকে তলব করে ইডি। ১ সেপ্টেম্বর অভিষেকের স্ত্রী রুজিরা এবং ৩ সেপ্টেম্বর অভিষেক ব্যানার্জিকে দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে সরব হয়েছিলেন তৃণমূল নেতারা। অভিষেকের মুখে শোনা গিয়েছিল আক্রমণের সুর। এই তদন্তের নেপথ্যে অমিত শাহ হিন্দিতে তিনি জানান, ‘আপ লোগোকো লাগত হ্যায় থোৱা বহুত ধমকানে সে চমকানে সে এ বইঠ জায়েগা। জান জায়েগা জীবন জায়েগা জো উখরনা চাহে উখার লো। অমিত শাহকো চুনৌতি দেতা হু। আপ হামে রোককে দিখাও।’ এই প্রসঙ্গ টেনে এদিন কেন্দ্রকে ফের আক্রমণ করে সুখেন্দুর দাবি, সিবিআই ইডিকে ‘খেপা কুকুর, ষাঁড়ের মতো লেলিয়ে’ দেওয়া হচ্ছে। সেখান থেকে বাদ পড়ছেন না অভিষেকের কলেজবেলার বন্ধুরাও! তৃণমূলের এই দাবির প্রেক্ষিতে এখন প্রশ্ন, এই বন্ধুরা কারা? তা নিয়ে শুরু হয়েছে নয়া চর্চা।
এদিকে এদিন বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারীকেও তীব্র নিশানা করেন সুখেন্দু শেখর রায়। নারদা মামলার এফআইআর-এ নাম থাকার পরেও চার্জশিটে কেন নন্দীগ্রামের বিধায়কের নাম নেই, তা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশ্ন তুলেছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ। এবার সাংবাদিক বৈঠক থেকেও সেই অভিযোগ করলেন সুখেন্দু শেখর। তাঁর টিপ্পনী, নারদা মামলার অভিযুক্ত হয়েও ২০ মিনিট সলিসিটর জেনারেলের বাড়িতে ছিলেন তিনি। এবং তা মেনেও নিয়েছেন সলিসিটর জেনারেল। শুভেন্দুকেও চা-ও অফার করা হয়েছিল! গোটা ঘটনাকে অভূতপূর্ব বলে মন্তব্য করে তৃণমূল সাংসদের কটাক্ষ, ‘যিনি শিরা ফুলিয়ে ন্যায় নীতি নিয়ে কথা বলছেন তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক ফৌজদারি মামলা রয়েছে।’ সিবিআই-র এফআইইরে নাম আছে অথচ, চার্জশিটে নাম নেই তাঁর! শুধুমাত্র বিজেপির মুখ্য প্রবক্তা বলে?
সুখেন্কেদু শেখর যোগ করেন, কেন্দ্রের কথায় ইডি, সিবিআই চলছে। অভিষেককে হেনস্থা করার চেষ্টা হচ্ছে। তৃণমূল নেতা ও তাঁর স্ত্রী ছাড়াও কলেজের বন্ধুদেরও সমন পাঠাচ্ছে! এটা কি গণতন্ত্র? এটাই নিরপেক্ষ সংস্থার কাজ? প্রশ্ন সুখেন্দু শেখর রায়ের। তাঁর আরও অভিযোগ, “এসব ষড়যন্ত্র কেবল বাংলাকে দখল করার জন্য। তবে আমরা আইনি ভাবে লড়াই করে যাব।” আরও পড়ুন: ‘অহংকার এমন জায়গায় পৌঁছেছে…!’ ‘দুর্গারূপিণী’ মমতাকে কটাক্ষ শুভেন্দুর