Kunal Ghosh: বাংলাদেশের কথা বলে হিংসা ছড়ানোর চেষ্টা, শুভেন্দুকে সেন্সর করার দাবি তৃণমূলের

TMC-BJP: কুণাল ঘোষ বলেন, "শুধু নির্বাচন বলে নয়,  সমাজকে ধর্মের নামে হিংসা তৈরির চেষ্টা, ধর্মীয় ভাবাবেগকে হিংসায় পরিণত করার চেষ্টা করা হয়েছে ওই ৪০ মিনিটের ভাষণে। এটা সমাজের পক্ষে, আইন-শৃঙ্খলার পক্ষে ক্ষতিকারক।"

Kunal Ghosh: বাংলাদেশের কথা বলে হিংসা ছড়ানোর চেষ্টা, শুভেন্দুকে সেন্সর করার দাবি তৃণমূলের
সাংবাদিক বৈঠকে কুনাল ঘোষ।Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 11, 2024 | 2:24 PM

কলকাতা:  উপনির্বাচনের আগেই আগ্রাসী তৃণমূল কংগ্রেস। শুভেন্দু অধিকারীকে সেন্সরের দাবি জানিয়ে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দ্বারস্থ রাজ্যের শাসক দল। হেট স্পিচ বা ঘৃণামূলক মন্তব্যকে কেন্দ্র করেই শাস্তির দাবি জানিয়েছে তৃণমূল।  এই মর্মে কমিশনের কাছে স্মারকলিপিও জমা দেয় তৃণমূলের প্রতিনিধি দল।

এ দিন কুণাল ঘোষ, শশী পাঁজা ও জয়প্রকাশ মজুমদার কমিশনের দ্বারস্থ হন। সেখানে একটি স্মারকলিপি জমা দেন তারা। কমিশনের আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করার পর সামবাদিক বৈঠকে করে কুণাল ঘোষ বলেন, “আজ আমরা মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে কিছু বক্তব্য জানিয়েছি, স্মারকলিপি দিয়েছি। যে বিষয়টি নিয়ে আমরা দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি, তা হল শনিবার ৯ নভেম্বর নির্বাচনী প্রচারে ভয়ঙ্কর আপত্তিজনক বক্তব্য রেখেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তারা হেট স্পিচ দিচ্ছেন। নির্বাচন কমিশনের আদর্শ আচরণবিধি মানা হচ্ছে না। সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ও প্ররোচনামূলক বক্তব্য রেখেছেন।”

কুণাল ঘোষ বলেন, ” বাংলাদেশ আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র।এর অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে আমাদের নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় কথা বলা যায় না। সেখানে কী হয়েছে, তার নির্দিষ্ট তথ্য আমাদের কাছে নেই। কিন্তু উনি (শুভেন্দু অধিকারী) বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ সম্পর্কে অত্যন্ত উত্তেজনামূলক বক্তব্য রেখে তিনি সাম্প্রদায়িক ভেদাভেদ, মেরুকরণ ও প্রতিহিংসার উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি করার চেষ্টা করেছেন। বিজেপির এই ভেদাভেদের সংস্কৃতি চলতে দেওয়া যায় না। উপনির্বাচনে হার নিশ্চিত বুঝে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে।”

কুণাল আরও বলেন, “ওই ভিডিয়োয় শুভেন্দু বলছেন এই ছবি দেখেছেন, ওই টাইলস ভাঙা হচ্ছে। আমরা স্মারকলিপির সঙ্গে ওই বক্তব্য পেনড্রাইভে করে নির্বাচন কমিশনের কাছে জমা দিয়েছি। এটা শুধু নির্বাচন বলে নয়,  সমাজকে ধর্মের নামে হিংসা তৈরির চেষ্টা, ধর্মীয় ভাবাবেগকে হিংসায় পরিণত করার চেষ্টা করা হয়েছে ওই ৪০ মিনিটের ভাষণে। এটা সমাজের পক্ষে, আইন-শৃঙ্খলার পক্ষে ক্ষতিকারক। আমাদের বক্তব্য কেন্দ্রের নির্বাচন কমিশন ও রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে সেন্সর করার দাবি জানিয়েছি।”

ভোটের শেষবেলায় এই অভিযোগ কেন, তার ব্যাখ্যা দিয়ে তৃণমূল নেতা বলেন, “আমাদের প্রচার আজ শেষ হচ্ছে। কিন্তু এই ভাষণের প্রভাব নির্বাচন বা উপ-নির্বাচনে সীমাবদ্ধ থাকছে না। এর প্রভাব আরও পড়বে। সম্ভাব্য যাবতীয় আইনি পদক্ষেপ করতে পারেন। তার আগে অবিলম্বে সেন্সর করতে হবে। নির্বাচন কমিশনরে কড়া বার্তা দিতে হবে হেট স্পিচ নিয়ে। এটা বিজেপির সংস্কৃতি। জানে ৬টার ৬টা আসনেই হারতে চলেছে। তাই মরিয়া হয়ে এইসব করছে। এই স্পিচ সংবাদমাধ্যম, সামাজির মাধ্যমে সরিয়ে পড়েছে। নির্বাচন কমিশনকেই ব্যবস্থা নিতে হবে। আমরা গোটা বিষয়টি বলেছি। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন। অপকর্ম করে শাসক দলের ওপর চাপানোর ষড়যন্ত্র চলছে । ঘৃণার ভাষণ তারই প্রস্তুতি।”