Firhad on Partha: ‘পার্থ চট্টোপাধ্যায় আমাদের কলিগ, আমরা লজ্জিত’… এই পার্থকে চেনেন না বললেন দীর্ঘদিনের সতীর্থ
ED Scam: ইতিমধ্যেই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছে ইডি। তাঁর 'ঘনিষ্ঠ' হিসাবে অর্পিতা মুখোপাধ্যায় নামে এক যুবতীও ইডির হাতে গ্রেফতার হন।
কলকাতা: বৃহস্পতিবার প্রথমে তিন দফতরের মন্ত্রিত্ব খুইয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এরপরই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়ে দিয়েছেন, দলের সমস্ত পদ থেকে অপসারিত করা হল পার্থকে। এরপরই বিস্ফোরক ফিরহাদ হাকিম। তৃণমূল ভবনের বাইরে দাঁড়িয়েই ফিরহাদ স্পষ্ট বলেন, পার্থকে সহকর্মী ভাবতে লজ্জা লাগছে তাঁর। এমন ঘটনার সঙ্গে যে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম জড়াতে পারে, তা ভেবেই পাচ্ছেন না পার্থর দীর্ঘদিনের এই সতীর্থ।
এদিন ফিরহাদ হাকিম বলেন, “আমাদের জেনারেল সেক্রেটারি বলেছেন, এই টাকার উৎস কী, সেটা যারা তদন্তকারী সংস্থা, তারাই সামনে আনতে পারবে। আমি একটা কথাই বলতে পারি, এই ঘটনাটায় আমরা সকলে ব্যথিত। সবার মনের মধ্যে একটা চাপ। এই ঘটনা আমরা কেউ প্রত্যাশা করিনি। সত্যি সত্যি পার্থ চট্টোপাধ্যায় আমাদের কলিগ, আমরা লজ্জিত এই অবস্থায়। আমি আশা করব এখনও সঠিক তদন্ত হবে এবং সত্যতা সামনে আসুক। যে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে আমরা চিনতাম, এই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর মিল খুঁজে পাচ্ছি না।”
ইতিমধ্যেই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছে ইডি। তাঁর ‘ঘনিষ্ঠ’ হিসাবে অর্পিতা মুখোপাধ্যায় নামে এক যুবতীও ইডির হাতে গ্রেফতার হন। এরপরই একের পর এক সোনাদানা, হিরে জহরত উদ্ধার হতে শুরু করেছে। প্রায় ৫০ কোটি টাকা নগদ ইতিমধ্যেই হাতে উঠে এসেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। শুধু অর্পিতা নয়, পার্থর গ্রেফতারির পর একাধিক মহিলার নাম উঠে আসছে এই দুর্নীতি মামলায়।
দল এতটাই বিড়ম্বনায় পড়ে যে বৃহস্পতিবার প্রথমে শিল্প মন্ত্রী, তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রী এবং পরিষদীয় মন্ত্রীর পদ হারান পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এরপরই বিকেলে তৃণমূল ভবনে বৈঠকের পর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিক বৈঠক করে জানান, তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব, শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটি, সর্বভারতীয় সহ সভাপতি, জাগো বাংলার সম্পাদক, জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য সহ সব পদ থেকে পার্থকে অপসারণ করা হল। যদিও অভিষেক জানান, যদি পার্থ নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে পারেন, তা হলে সম্মানে দলে ফেরানো হবে তাঁকে। এরপরই ফিরহাদের কথার ‘বিস্ফোরণ’। প্রসঙ্গত কয়েক মাস আগে এই ফিরহাদ হাকিমই বলেছিলেন, ‘সমবেত ক্যাবিনেটের দায়িত্ব’-এর কথা। যখন কুণাল ঘোষ বলেছিলেন ‘তখনকার শিক্ষা মন্ত্রী বলতে পারবেন’।