ক্রমেই মারণ ছত্রাকের ‘আতুঁড়ঘর’ হয়ে উঠছে বাঁকুড়া! সংক্রমিত ৩৭, মৃত ৫
Mucormycosis: বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, বর্তমানে ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা ১৯। ভর্তি থাকা রোগীদের মধ্যে ১২ জনের শরীরে অস্ত্রোপচার হয়েছে।
বাঁকুড়া: করোনার কামড় যখন নিম্নমুখী, তখন অগোচরে থাবা বসাচ্ছে মিউকরমাইকোসিস (Mucormycisis)। রাজ্যে ক্রমেই বাড়ছে মিউকরমাইকোসিসে আক্রান্তের সংখ্যা। শুক্রবার জেলা স্বাস্থ্য দফতরের হিসেব অনুযায়ী, বাঁকুড়ায় মিউকরমাইকোসিস বা কৃষ্ণ ছত্রাকে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৭। ইতিমধ্যেই, মৃত্যু হয়েছে ৫জনের।
বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, বর্তমানে ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা ১৯। ভর্তি থাকা রোগীদের মধ্যে ১২ জনের শরীরে অস্ত্রোপচার হয়েছে। মিউকরমাইকোসিস (Mucormycisis) জয় করে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন মাত্র ৫ জন। চিকিৎসার প্রয়োজনে কলকাতায় রেফার করা হয়েছে ৮ জনকে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, করোনার দ্বিতীয় ঢেউতে যেভাবে মিউকরমাইকোসিসের সংক্রমণ দেখা গিয়েছে গত পাঁচ বছরে এমন আক্রান্তের সংখ্যা দেখা যায়নি। ক্রমবর্ধমান মারণ ছত্রাকে আক্রান্তের এই পরিসংখ্যান কপালে ভাঁজ ফেলছে স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের।
বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ পার্থ প্রতিম প্রধান বলেন, “আমাদের এখানে কেবল বাঁকুড়া থেকে এসে রোগীরা ভর্তি হচ্ছেন এমন নয়, ঝাড়গ্রাম, মেদিনীপুর এমনকী ঝাড়খণ্ড থেকেও আসছেন। সকলের ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে, এরা প্রত্যেকেরই হাই সুগারের রোগী। যে পাঁচজন মারা গিয়েছেন তাঁদের শেষ অবস্থা ছিল। আমরা চেষ্টা করেও বাঁচাতে পারিনি। আশা করছি, আমরা এই কঠিন পরিস্থিতির মোকাবিলা করে উঠতে পারব।”
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দাবি, মিউকরমাইকোসিস বা ব্ল্যাক ফাঙ্গাস (Black Fungus) মূলত দূর্বল অনাক্রম্য ব্যক্তির দেহে বাসা বাঁধে। অর্থাৎ, যে ব্যক্তির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তাঁর দেহেই বাসা বাঁধতে পারে এই মারণ ছত্রাক। মূলত কোভিডজয়ী রোগীদের দেহে প্রতিরোধক ক্ষমতা কম থাকে। সংক্রমণের গ্রাফ দেখে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক নির্দেশে, মিউকরমাইকোসিসকে (Mucormycosis) মহামারী আইনের আওতায় এনে ‘নোটিফায়েবল ডিজ়িজ়’ বলে ঘোষণা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘নিজেদের দোষ ঢাকতে আমায় পাগল বলছিল’, জোড়া ডোজ় নেওয়া সুজিতবাবুর পাশে চিকিৎসকেরা