IPL 2022: বোলিংই আমাদের টিমের সবচেয়ে ইতিবাচক দিক, বলছেন কেকেআর ছাড়া কুলদীপ
তিনি যেন মুখিয়ে ছিলেন কেকেআর ম্যাচটার জন্য। যে টিম তাঁকে ব্রাত্য করে দিয়েছে, সেই টিমের বিরুদ্ধে সেরাটা উজাড় করে দিয়েছেন। বলা যেতে পারে কুলদীপ যাদবের কাছেই ম্যাচটা হেরেছে কেকেআর।
মুম্বই: কে বলে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে বদলার মেজাজ থাকে না! যে টিমে ব্রাত্য হয়ে পড়েছিলেন, যে টিম তাঁকে পাকাপাকি ডাগআউটে বসিয়ে দিয়েছিল, সেই টিমের বিরুদ্ধেই কিনা জ্বলে উঠলেন। এমন আগুনে বোলিং করলেন যে, তাঁর উত্তাপে প্রতিপক্ষ কার্যত চুরমার। ৩৫ রান দিয়ে নিলেন ৪ উইকেট। ৪৪ রানে জেতা ম্য়াচে তাঁকে ছাড়া সেরা আর কাকে বাছা যেতে পারত? ঠিক তাই, কুলদীপ যাদবের (Kuldeep Jadav) বিরুদ্ধেই যেন কলকাতা নাইট রাইডার্স (Kolkata Knight Riders) হেরে গেল। এক-একটা উইকেট নিয়েছেন আর তাঁকে দেখে মনে হয়েছে, যাবতীয় ক্ষোভ উগড়ে দিচ্ছেন। চায়নাম্যান বোলার এ বারের আইপিএলে শুরু থেকে ছন্দে রয়েছেন। দিল্লি ক্যাপিটালসের (Delhi Capitals) হয়ে যে নতুন করে নিজেকে ফিরে পাওয়ার চেষ্টা করছেন, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। ক্যাপ্টেন ঋষভ পন্থও বুদ্ধিমানের মতো ব্য়বহার করছেন কুলদীপকে। দিল্লি যদি চ্যাম্পিয়ন হয় শেষ পর্যন্ত, কুলদীপ যাতে টিমের সেরা বোলার হয়ে উঠতে পারেন, সেই চেষ্টা যেন করে যাচ্ছেন অবিরত।
কী বলছেন কুলদীপ? এই মরসুমে আমাদের সবচেয়ে ইতিবাচক দিক হল আমাদের বোলিং। প্রথম ম্য়াচে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স এমন শুরু করেছিল, মনে হচ্ছিল ২০০ পার করে দেবে। কিন্তু ওদের ১৭৭-৫ এ আটকে দিয়েছিলাম। পেসাররা চমৎকার বোলিং করছে। কেকেআরের বিরুদ্ধেও এর ব্যতিক্রম হয়নি। পেসাররা শুরু থেকে চাপটা ধরে রেখেছিল। ওটাই কিন্তু আমাদের মতো স্পিনারদের খোলা মনে বোলিং করতে সাহায্য করেছে।’
৪ উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি অনেকখানি দৌড়ে গিয়ে উমেশ যাদবের ক্যাচও নিয়েছেন কুলদীপ। ‘আমি খুব ভালো করে জানতাম, ওই ক্যাচটা ধরতে হলে আমাকে অনেকখানি দৌড়তে হবে। দৌড়নোর সময়ও কিন্তু আমি বলে চোখ রেখেছিলাম। সেই কারণেই বলের কাছাকাছি পৌঁছতে অসুবিধা হয়নি। ক্যাচটা কিন্তু সত্যিই ভালো নিয়েছি। একটা ব্যাপার বলতেই হবে, যে টিমে তারুণ্য বেশি হয়, তাদের কাছ থেকে কিন্তু ভালো ফিল্ডিংই প্রত্যাশা করে সবাই। যে কারণে আমরা প্রতি ম্যাচেই সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করছি।’
আইপিএলে কেকেআর ম্যাচের পর ৫ দিনের বিশ্রাম পেয়েছে দিল্লি। কুলদীপ বলছেন, ‘কেকেআর ম্যাচ থেকে পাওয়া দুটো পয়েন্ট খুব গুরুত্বপূর্ণ। পরের ম্যাচে নামার আগে টিমের মানসিকতা তুঙ্গে থাকবে। সেই সঙ্গে এই টিমের মধ্যে একটা ইতিবাচক এনার্জিও বয়ে আনবে।