AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

রিভার্স হেয়ার ওয়াশিং কী? এইভাবে যত্ন নিলেই হবে সমস্যার সমাধান!

আমরা জানি, প্রথমে চুল ভিজিয়ে শ্যাম্পু করার পর কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হয়। এবার সেই পদ্ধতিটিই শুধু উল্টো করে দিতে হবে।

রিভার্স হেয়ার ওয়াশিং কী? এইভাবে যত্ন নিলেই হবে সমস্যার সমাধান!
ছবিটি প্রতীকী
| Edited By: | Updated on: Jun 14, 2021 | 12:43 PM
Share

নিয়মিত চুল ধোয়ার একটি নির্দিষ্ট পদ্ধতি রয়েছে। শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করলেই চুলের স্বাস্থ্য ভাল থাকবে, তা কিন্তু মোটেই না। চুলের প্রকার অনুযায়ী চুল ধোয়ার পদ্ধতি রয়েছে। ত্বক পরিস্কার ও উজ্জ্বলতা বজায় রাখার জন্য ধাপে ধাপে পদ্ধতি রয়েছে, চুলের ক্ষেত্রেও তেমনই কিছু পদ্ধতি রয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে রিভার্স হেয়ার ওয়াশিং স্টাইল। অনেকে এই পদ্ধতিকে ভুল বলে গণ্য করবেন, কিন্তু এই পদ্ধতিতে চুলে শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করলে উপকার মেলে।

কীভাবে করবেন

– খুব সহজ পদ্ধতি। হালকা গরম জল নিয়ে গোটা চুল ধুয়ে ফেলুন। এমনটা সকলেরই জানা। – নরম ও শুকনো তোয়ালে দিয়ে ভিজে চুল শুকিয়ে নিন। -এবার পরিমাণ মতো কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন । – এবার হালকা গরম জল দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। এবার একটি মগে শ্যাম্পু গোলা জল দিয়ে চুল আবার ধুয়ে নিন। ধীরে ধীরে চুলের স্ক্যাল্পে মাসাজ করুন। এরপর ঠান্ডা জল দিয়ে চুল ভাল করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দুবার এই পদ্ধতিতে চুলের যত্ন নিতে পারেন।

আরও পড়ুন: ত্বক ও চুলের যৌবন ফেরান রাতের বেলায়! রইল সঠিক পরিচর্চার কিছু টিপস

রিভার্স হেয়ার ওয়াশিংয়ের উপকারীতা

– অকালে চুল পড়া থেকে দ্রুত মুক্তি পেতে পারেন। – প্রথমে কন্ডিশনার ও পরে শ্যাম্পু ব্যবহারের ফলে চুলের গঠন-প্রকৃতি একই রকম বজায় থাকে। – উল্টো পদ্ধতিতে চুলের ধুলে স্ক্যাল্পে থাকা ছিদ্রগুলি পরিস্কার হয়ে খুলে যায়। এতে শ্বাস নিতে পারে চুলের গোড়া ও চুলের ত্বক। – চুলের ত্বকে থাকা অতিরিক্ত তেল দূর হয়। – উল্টো পদ্ধতিতে শ্যাম্পু করায় চুলের ভলিউম বজায় থাকে – শুষ্ক ও রুক্ষ চুলের জন্য বেশ উপকারী – চুল বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।

হেয়ার ওয়াশ করার সাধারণ ও সহজ কিছু টিপস

– সবসময় শ্যাম্পু জলের মধ্যে গুলে তবেই চুলে ব্যবহার করুন। দি আপনার দুবার করে শ্যাম্পু করার অভ্যেস থাকে, তাহলে সেই পরিমাণে জল নিয়ে তাতে পছন্দের শ্যাম্পু দিয়ে ভালো গুলে নিন।

– চুল ধোয়ার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হল, সবসময় স্বাভাবিক জল ব্যবহার করা। তবে শীতকাল বা অত্যন্ত পরিশ্রমের শেষে চুল ধুতে হলে একদম হালকা গরম জল ব্যবহার করা যেতে পারে।

-গরম জল ব্যবহার করলে চুলের ত্বক মারাত্মক রকমের ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

– যদি আপনার চুলে কালার করা থাকে, তাহলে কালার রক্ষা করার স্মুদিং কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। তারপর শাওয়ার ক্যাপ লাগিয়ে অন্তত ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন তারপর ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে নিন।