Benefits of Vapor: ভেপার নেওয়া ত্বকের জন্য প্রয়োজনীয় কেন? ভেপারের সুবিধাগুলো জেনে নিন…
ভেপার ত্বকের রন্ধ্রগুলো খুলে দেয় যার ফলে ত্বকের শোষণ ক্ষমতা বাড়ে। এর ফলে ভেপার নেওয়ার পরে আপনি যদি কোনও ময়েশ্চারাইজার বা অন্য কোনও প্রোডাক্ট ব্যবহার করেন তা ত্বকের গভীরে প্রবেশ করতে পারে।
আমরা আমাদের ত্বককে হাইড্রেটেড এবং পরিষ্কার রাখার জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করে থাকি। যদিও কেউ কেউ তাঁদের মুখের জন্য ক্লিনজার এবং ময়েশ্চারাইজারগুলির খুঁজে থাকেন, তবে কিছু মানুষ আছেন যাঁরা মুখে জলীয় বাষ্প বা ভেপার নেওয়া পছন্দ করেন। এক্ষেত্রে একটা সাধারণ বাটিতে গরম জল নিলেই যথেষ্ট। তবে কেউ কেউ অতিরিক্ত উপকারের জন্য জলের মধ্যে নুন, লেবু, চা পাতা, শুকনো ভেষজ এবং তেল যোগ করে। মুখে এই ভেপার নেওয়ার সুবিধা কী? উন্নত সিরামের শোষণ, মুখের ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে তোলা এবং চামড়াকে নরম রাখা।
পরিষ্কার করতে সাহায্য করে:
মুখে ভেপার নিলে আপনার রন্ধ্রগুলো খুলে যায়। পাশপাশি ত্বকের মৃত কোষ, ময়লা এবং অন্যান্য বর্জ্য যা রন্ধ্রগুলিকে বন্ধ রাখে সেগুলি সরাতে সাহায্য করে। আপনার যদি ব্ল্যাকহেডস থাকে, তাহলে এই ভেপার সেগুলোকে নরম করে দিতে পারে। এমনকি নিয়মিত ব্যবহারে এই ব্ল্যাকহেডসগুলো সরানোও সম্ভব। যখন ব্ল্যাকহেডস এবং হোয়াইটহেডস ত্বকে অনেকটা সময়ের জন্য থাকে, তখন ব্যথা হতে পারে। ভেপার আপনার মুখের ত্বকের ছিদ্রকে খুলে দেয় আর আপনার ত্বককে পরিষ্কার রাখে।
এটি রক্ত সঞ্চালনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়:
কখনও কখনও আপনার ত্বক নিস্তেজ হয়ে যায়। এমনকি আপনি যদি একটা সঠিক স্কিন কেয়ার রুটিন মেনে চলেন তখনও আপনার ত্বক শুকনো হয়ে যায়। এর প্রধান কারণ হতে পারে সেই নির্দিষ্ট এলাকায় রক্ত সঞ্চালন ভাল মাত্রায় না হওয়া। এক্ষেত্রে ভেপার আপনার ত্বকের জন্য বিশেষ উপকারি হবে। এটি ত্বকে রক্ত সঞ্চালনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে, ত্বকে অক্সিজেন সরবরাহ করে। এর ফলে স্বাভাবিকভাবেই ত্বক সুস্থ থাকে।
ত্বককে হাইড্রেট করে:
ভেপার ত্বকের রন্ধ্রগুলো খুলে দেয় যার ফলে ত্বকের শোষণ ক্ষমতা বাড়ে। এর ফলে ভেপার নেওয়ার পরে আপনি যদি কোনও ময়েশ্চারাইজার বা অন্য কোনও প্রোডাক্ট ব্যবহার করেন তা ত্বকের গভীরে প্রবেশ করতে পারে। এটি ত্বককে প্রাকৃতিকভাবে হাইড্রেট করে। শুকনো ত্বক সব সময়ই নিস্তেজ হয়ে থাকে। ভেপার ত্বকের নমনীয়তা বাড়ায় এবং শুষ্কতা রোধ করে।
কোলাজেন এবং ইলাস্টিন উৎপাদনে সাহায্য করে:
ভেপারের ফলে রক্ত প্রবাহ যে বেড়ে যায়, তা মুখ এবং ঘাড়ের অঞ্চলে ভাল ভাবে সঞ্চালিত হয়। এটি বেশি পরিমাণে কোলাজেন এবং ইলাস্টিন তৈরিতে সাহায্য করে। এগুলো ত্বককে সুস্থ রাখার দুটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এগুলর পরিমাণ যত স্থায়ী হবে আপনার ত্বক তত বেশি সতেজ থাকবে। মানুষের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কোলাজেন এবং ইলাস্টিনের পরিমাণ কমে যায়। সেই কারণে ত্বক আর টান টান থাকে না।
আরও পড়ুন: মুখের লাল ভাবের কারণ আর সেগুলো নিরাময়ের উপায় জেনে নিন…
আরও পড়ুন: জেনে নিন ত্বকের ওপর কতটা সহায়ক অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার!