Excessive Sweating: অতিরিক্ত পরিমাণে ঘাম হয়? নিয়ন্ত্রণ করুন ঘরোয়া উপায়ে!
কিন্তু কিছু কিছু মানুষের মধ্যে অতিরিক্ত ঘামের সমস্যা দেখা দেয়। সাধারণ ভাবে জীবনধারায় সামান্য পরিবর্তন এনেই আপনি এই অতিরিক্ত ঘামের সমস্যা থেকে রেহাই পেতে পারেন।
ঘাম হওয়া খুব সাধারণ একটি বিষয়। এই ঘামের মাধ্যমে শরীর নিজেকে শীতল রাখতে সাহায্য করে। ত্বকে দুরকমের সোয়েট গ্ল্যান্ড বা ঘর্মগ্রন্থি রয়েছে। হাতের চেটো ও পায়ের পাতার অংশে এক ধরনের গ্ল্যান্ড রয়েছে, যেখান দিয়ে নুন ও জল বেরয়। অন্য ধরনের গ্ল্যান্ড আন্ডারআর্ম ও শরীরের অন্যান্য অংশে রয়েছে। কিন্তু কিছু কিছু মানুষের মধ্যে অতিরিক্ত ঘামের সমস্যা দেখা দেয়।
সাধারণ ভাবে জীবনধারায় সামান্য পরিবর্তন এনেই আপনি এই অতিরিক্ত ঘামের সমস্যা থেকে রেহাই পেতে পারেন। রোজমেরি, লাইম এসেন্সিয়াল অয়েল দিয়ে স্নান করুন। এক বালতি জলে পাঁচ থেকে ছয় ফোঁটা এসেন্সিয়াল অয়েল দিয়ে দিন। তারপর কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন এবং সেই জল দিয়ে স্নান করুন। এতে আপনি সারাদিন ফ্রেশ থাকবেন এবং ঘামের সমস্যা কমবে। মনে রাখবেন, এসেন্সিয়াল অয়েল কখনই সরাসরি ত্বকেও ওপর প্রয়োগ করবেন না।
কাজের ফাঁকে মাঝে মাঝে গোলাপ জলের টনিক, শসার রস বোতলে ভরে মুখে স্প্রে করুন। ত্বকের ক্ষেত্রে শসা ও গোলাপ জল খুবই উপকারী। শুষ্ক ত্বকের ক্ষেত্রে মধুর জল মিশিয়ে লাগান। এতে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকবে। ঘামের সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য সেনসেটিভ ত্বকে সি সল্ট, স্ক্রাব, এসেন্সিয়াল অয়েল, বাথ ফোম ব্যবহার করবেন না। এতে ত্বকের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এই ক্ষেত্রে পার্সোনাল হাইজিন বজায় রাখার চেষ্টা করুন।
নিয়মিত অন্তর্বাস পরিবর্তন করুন। চুলের স্ক্যাল্প সহজেই ঘেমে যায়। তাই চিরুনি নিয়মিত পরিষ্কার করুন। অপরিস্কার চিরুনি ব্যবহার করলে সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে। পরিষ্কার তোয়ালে ব্যবহার করুন। প্রয়োজনে তোয়ালে কাচার সময় জলে সামান্য অ্যান্টিসেপ্টিক লোশন দিয়ে দিতে পারেন। আবহাওয়া অনুযায়ী ত্বকের পরিচর্চা করা দরকার। শুষ্ক আবহাওয়ায় ভিজে ত্বকে ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
ডায়েটের দ্বারাও নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেন এই ঘামের সমস্যা। অতিরিক্ত ঘামের সমস্যা হলে নিয়মিত স্কিন কেয়ারের সঙ্গে ডায়েটে সামান্য কিছু রদবদল করুন। কাজের ফাঁকে মাঝে মাঝে লেবুর জল পান করতে পারেন। দিনে বেশি পরিমাণে কফি পান করবেন না। দুপুরে বা রাতের খাবারের আগে আদা দিয়ে তৈরি চা পান করুন। আদার ছোট টুকরো নুন দিয়ে খাবার খাওয়ার আগে খেতে পারেন । এতে কমতে পারে আপনার ঘামের সমস্যা। হালকা খাবার খান। খুব বেশি তেল মশলা যুক্ত খাবার খাবেন না। আর ফলকে অবশ্যই ডায়েটে রাখুন। শরীর হাইড্রেট থাকলে ঘামের সমস্যা কম হয়। এই ক্ষেত্রে জল জাতীয় ফল খান। এবং প্রচুর পরিমাণে জল পান করুন।
আরও পড়ুন: ঘামের দুর্গন্ধ থেকে ছুটি মিলবে ঘরোয়া উপায়েই!
আরও পড়ুন: ভেপার নেওয়া ত্বকের জন্য প্রয়োজনীয় কেন? ভেপারের সুবিধাগুলো জেনে নিন…