Saree Draping Technique: ব্লাউজ থেকে পেটিকোট নতুন বছরে শাড়ি পড়তে গিয়ে এই ৫ ‘মিস’ নয়
Fashion And Style: সব সময় সুতির সায়া পরুন। এতে শাড়ি টাইট হয়ে বসে থাকে। ঘাম হলেও সমস্যা হয় না
শাড়ি পরতে খুবই ভালবাসে মিতালি। তবে নিজে কিছুতেই আর শাড়ি পরা শিখে উঠতে পারে না। ছোট থেকেই মা শাড়ি পরিয়ে দিত। কখনও পাড়ার কোনও দিদি। হস্টেলে থাকাকালীন বন্ধুরাই তার ভরসা। পরবর্তীতে কখনও পার্লার, কখনও বিশেষ কোনও ড্রেপারের কাছে শাড়ি পরেছে। তবে ২ ঘণ্টার জন্য শাড়ি পরতেই যদি স্রেফ ৫০০ টাকা ধ্বংস হয়ে যায় তাহলে কার আর ভাল লাগে। তার চেয়ে কষ্ট করে নিজেই শিখে নিন শাড়ি পরা। শাড়ি পরার নানা সহজ কৌশল এখন ইউটিউবেও পাওয়া যায়। শাড়ি ড্রেপিং এখন রীতিমতো একটি পেশা। আর শাড়ি পরা একবার শিখলে জীবনে তা যেমন ভুলবেন না তেমনই অনেক কাজেও আসবে। নতুন বছরে শাড়ি পরার আগে মাথায় রাখুন এই সব টিপস। কাজে আসবেই…
অনেকেই ভাবেন শাড়ি পরার জন্য তিনি অস্বস্তি বোধ করছেন। ঠিক করে হাঁটতে পারছেন না। আর তাই প্রথমেই নিজের মনকে ঠিক রাখুন। শাড়ি পরলেই আপনি পা জড়িয়ে পরে যাবেন এমন নয়। নিজে ঠিক থাকলেই সুন্দর ভাবে হাঁটতে পারবেন।
শাড়ি পরলে যে কোনও মেয়েকেই দেখতে সুন্দর লাগে। এই বিষয়ে কোনও দ্বিমত নেই। তবে শাড়ি ঠিক করে পরতে হবে। যয়ত শরীরের সঙ্গে সাঁটিয়ে পরতে পারবেন ততই ভাল। শাড়িতে খুব বেশি সেপটিফিন দেবেন না। এতে শাড়ি ছিঁড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। অনেকেই কুঁচি ঠিক রাখতে সেপটিপিন দেন। এর আদতে কোনও প্রয়োজন থাকে না।
শাড়ি দেখতে সুন্দর লাগবে তখনই যখন সঠিক ব্লাউজ পরবেন। ব্লাউজ যাতে ফিটিংস হয় সেইদিকে খেয়াল রাখুন। ব্লাউড ঢিলে হলে দেখতে মোটেই ভাল লাগে না। এক রঙা শাড়ি হলে ফ্লোরাল প্রিন্টের ব্লাউজ পরুন। সিল্ক শাড়ির সঙ্গে একই রঙা ব্লাউজ পরার চেষ্টা করুন।
ফিশটেল পেটিকোট পরতে পারলে সবচাইতে ভাল। অনেকেই সার্টিনের পেটিকোট পরেন। তবে এই পেটিকোটে শাড়ি ঠিকমতো পরা যায় না। সব সময় সুতির সায়া পরুন। এতে শাড়ি টাইট হয়ে বসে থাকে। ঘাম হলেও সমস্যা হয় না।
সব সময় জুতো পরে শাড়ি পরুন। এতে শাড়ি নীচু হয়ে যায় না। শাড়ি খুব বেশি নীচু পরলেও সমস্যা আবার বেশি উঁচু করলেও দেখতে ভাল লাগে না। সব সময় গোড়ালির নীচে শাড়ি রাখবেন।
যদি ঠিকমতো শাড়ি ম্যানেজ করতে না পারেন তাহলে আঁচলে পিন করুন। আঁচল খুব নীচু করবেন না। এতে দেখতে বেঁটে লাগে।