Diabetes Diet: এই কয়েকটি খাবারের জাদুতেই লুকিয়ে ডায়াবিটিসের ওষুধ!
ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে ডায়েট ঠিকমতো হওয়া খুব জরুরি। পুষ্টিকর খাবার রাখতে হবে রোজকার খাদ্য তালিকায়। সেই সঙ্গে খেয়াল রাখতে হবে খাবারের গ্লুকোমিক ইনডেক্স যাতে কম হয়
ডায়াবিটিসের (Diabetes) সমস্যা এখন ঘরে ঘরে। বিশ্বজুড়েই নিঃশব্দ ঘাতকের মত বাড়ছে ডায়াবিটিস আক্রান্তের সংখ্যা। খুব কম বয়স থেকেই অনেকে হচ্ছেন এই নাছেড়বান্দা রোগের শিকার। ডায়াবিটিস থেকে কিন্তু পুরোপুরি মুক্তি পাওয়া যায় না। একে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় মাত্র। জীবনযাত্রার পরিবর্তন, অতিরিক্ত মানসিক চাপ ( Mental Stress), ঘুম কম হওয়া, কোনও রকম শারীরিক পরিশ্রম না হওয়া এসবই কিন্তু ডায়াবিটিসের অন্যতম কারণ। আর তাই সব মানুষেরই উচিত বছরে অন্তত একবার রক্তশর্করা পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া। কারণ অজান্তেই যদি রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যায় তাহলে কিন্তু অনেক রকম সমস্যা আসতে বাধ্য। অজান্তেই ডায়াবিটিস ক্ষতি করে চোখ, কিডনি, হার্টের (Heart)। যেখান থেকে শরীরে যেমন রোগ-প্রতিরোধক ক্ষমতা কমে যায় তেমনই কিন্তু পরবর্তীতে মাল্টি অর্গান ফেলিওয়ের সম্ভাবনাও থেকে যায়। আর তাই প্রথম থেকেই নজর দিন ডায়েটে।
আপেল- আপেল শরীরের জন্য খুবই উপকারী। আপেলের মধ্যে থাকে প্রয়োজনীয় ভিটামিন, খনিজ উপাদান। এছাড়াও আপেলের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন সি ও প্রচুর পরিমাণ ফাইবার। আর তাই ডায়েটে অবশ্যই রাখুন আপেল। আপেল কিন্তু ওজন কমাতেও ভীষণ ভাবে সাহায্য করে। লাঞ্চের আগে আপেল খেতে পারলে ভাল। এছাড়াও যদি ডেজার্ট পছন্দের হয় তাহলেও কিন্তু আপেল, দারচিনি আর সামান্য মধু ছড়িয়ে বেক করে বানিয়ে নিতে পারেন পছন্দের কোনও পদ।
আমন্ড- আমন্ডের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। সেই সঙ্গে আমন্ডের মধ্যে থাকে ম্যাগনেসিয়াম, মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড। থাকে প্রোটিন, ফাইবার। যা রক্ত শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। আর তাই প্রতিদিন পাঁচ-ছ’টি আমন্ড অবশ্যই খাবেন। এছাড়াও ওটস কিংবা স্মুদির সঙ্গেও দিতে পারেন আমন্ড।
ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল- প্রতিদিন লেবু, কমলালেবু বা মুসাম্বি যে কোনও একটা ফল খাওয়ার চেষ্টা করুন। যে ফলের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি। ভিটামিন সি আমাদের ত্বক, চুল ভাল রাখে। সেই সঙ্গে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়িয়ে তোলে। তাই রোজ ভাত খাওয়ার পর এক গ্লাস জলে একটা গোটা পাতিলেবুর রস দিয়ে খান। এতে কিন্তু উপকার পাবেন।
হলুদ- কাঁচা হলুদ কিন্তু স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। হলুদের মধ্যে রয়েছে কিউকারমিন। যা আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। তাই প্রতিদিন সকালে একটু কাঁচা হলুদ চিবিয়ে খেতে পারলে খুব ভাল। নইলে হলুদ, আদা আর গোলমরিচ দিয়ে বানিয়ে নিন চা। এই চা কিন্তু শরীরের অনেক উপকার করে।
ওটস- ডায়াবিটিসের সমস্যা হোক বা ওবেসিটি- খুব ভাল কাজ করে ওটস। ওটসের মধ্যে একেবারেই কোনও ক্যালোরি থাকে না। সেই সঙ্গে থাকে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার। এছাড়াও ওটসের গ্লুকোমিক ইনডেক্সও খুব কম। আর তাই প্রতিদিন ব্রেকফাস্টে রাখুন একবাটি করে ওটস।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।