Best Diet Tips: অস্বাস্থ্যকর খাবারের তালিকায় থাকে প্রথমেই, তবুও গবেষণা বলছে এই সব খাবারই পুষ্টির আধার
Healthy diet tips: ই সব প্রসেসড ফুডে যে সব উপকরণ থাকে তা স্বাস্থ্যের জন্য মোটেই ভাল নয়। তাহলে কী এমন থাকে যে কারণে এই সব খাবারও স্বাস্থ্যকর বলা হচ্ছে?
পিৎজা, কেক, বার্গার, কুকিজ, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই- তালিকাটা লম্বা আর এই সব খাবারই কিন্তু ফাস্ট ফুডের মধ্যে পড়ে। যা চূড়ান্ত অস্বাস্থ্যকর। রোজ খেলে ওজন বাড়বে, চর্বি জমবে শরীরে, সুগার বাড়বে, কোলেস্টেরল বাড়বে- যা কিছু খারাপ হওয়ার সব হবে তবুও জেনে শুনে এই সব খাবারই মনে ধরে অধিকাংশের। তাড়াহুড়োর বাড়ির সেদ্ধ ভাতের থেকে অনেক বেশি সহজলভ্য এখন এই বার্গার-পাস্তা। তাই পেলেই সোজা চালান মুখে। ছোট থেকে বড়- সকলেই আছেন এই দলে। লোভকে সামাল দেওয়া কার সাধ্যি! একপিস বার্গার অথবা পিৎজা খেয়ে আপনার সচেতন মন বলতেই পারে, ‘কী পাপ করে ফেললাম। অতিরিক্ত ৩০ মিনিট হেঁটে ক্যালোরি ঝরিয়ে ফেলতেই হবে’। তবে গবেষণা কিন্তু তা বলছে না। বরং এই সব অস্বাস্থ্যকর খাবারকেই স্বাস্থ্যকর বলছেন তাঁরা।
ভাবছেন তো যে খাবারগুলোকে প্রতি মুহূর্তে বিষ আর অস্বাস্থ্যকর বলে দাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে তা কী করে স্বাস্থ্যকর হতে পারে? কারণ এই সব প্রসেসড ফুডে যে সব উপকরণ থাকে তা স্বাস্থ্যের জন্য মোটেই ভাল নয়। তাহলে কী এমন থাকে যে কারণে এই সব খাবারও স্বাস্থ্যকর বলা হচ্ছে। পিৎজা, বার্গার, কেক এসব তৈরি করতে কাজে লাগে ময়দা, ঘি, সবজি, মাংস, চিজ এই সব। যদি নিয়ম মেনে উপাদান গুলো মিশিয়ে এই সব মুখরোচক খাবার বানিয়ে নিতে পারেন তবেই কিন্তু তা স্বাস্থ্যকর হবে। জেনে নিন কী ভাবে বানাবেন
পিৎজা- পিৎজা হল অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ভাল উৎস। পিৎজায় টমেটো সস ব্যবহার করা হয়। টমেটো কুচিও থাকে। টমেটো লাইকোপোপেনের খুব ভাল উৎস। যা আমাদের হৃদরোগের হাত থেকে রক্ষা করে। এছাড়াও পিৎজার ডো তৈরির সময় তাতে ইস্ট বা টকদই ব্যবহার করা হয়। যার মধ্যে থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। বাকি সবজি তো আছেই। সব মিলিয়ে যদি এই সব নিয়ম মেনে পিৎজা বানাতে পারেন তবেই তা স্বাস্থ্যকর।
ফ্রেঞ্চ ফ্রাই- বাচ্চাদের দারুণ প্রিয় এই ফ্রেঞ্চ ফ্রাই সঙ্গে বড়োদেরও। বার্গারের সঙ্গে বিশেষ আকর্ষণ এই আলুভাজা। ফ্রেঞ্চ ফ্রায়ের মধ্যেও থাকে প্রোটিন। ফ্রেঞ্চ ফ্রাই শরীরকে পুষ্টি দেয়, পেশীর ক্র্যাম্প এড়ানো যায়, গর্ভাবস্থায় শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশে সাহায্য করে। তাই বলে রোজ খাবেন না।
পপকর্ন- পপকর্ন কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। কিছু প্রতিবেদনে বলা হয়েছে তিন কাপ পপকর্ন এককাপ ওটমিলের সমান। এটি ফাইবারের খুব ভাল উৎস। কোষ্ঠকাঠিন্য সারাতেও সাহায্য করে। সেই সঙ্গে ক্যালোরির পরিমাণও কম।
হ্যামবার্গার- রেড মিট থেকেই হ্যাম তৈরি হয়। যে কারণে এই বার্গার আয়রনের খুব ভাল উৎস। চর্বিহীন মাংস ব্যবহার করুন হ্যামবার্গার তৈরি করতে। স্নায়ুরোগ প্রতিরোধ করতে এবং রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে তা সাহায্য করে। এছাড়াও রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ কিছু ভিটামিন। হ্যামবার্গার গ্রিল করে খান।
কেক- ওজন কমাতে সাহায্য করে কেক। গবেষণায় দেখা গিয়েছে এক টুকরো কেক থেকে যে ক্যালোরি পাওয়া যায় তা আপনাকে ওজন কমাতে সাহায্য করবে। এবং সেই সমীক্ষায় আরও দেখা গিয়েছে যাঁরা নিয়ম করে ৬০০ ক্যালোরির ব্রেকফাস্ট খেয়েছেন এবং তাতে কেক রেখেছেন তাঁদের ওজন কমেছে অনেকটাই।