Food For High Cholesterol: পরিবারের অন্দরেই কোলেস্টেরলের সমস্যা? আজ থেকেই খাদ্যাভ্যাসে আনুন পরিবর্তন
কোলেস্টেরল (High cholesterol) নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রথমেই নজর দিন রোজকার জীবনযাত্রায় (cholesterol diet)। ডায়েটে আনুন পরিবর্তন (Food for cholesterol)। সুস্থ থাকতে নিজেকেই কিন্তু শরীরের যত্ন নিতে হবে
কোলেস্টেরল বাড়ার অন্যতম কারণ হল জীবনযাত্রা। আজকাল অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রা, খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন এবং মানসিক চাপই কোলেস্টেরল বাড়ার অন্যতম কারণ। তবে যাঁদের পারিবারিক ইতিহাসে কোলেস্টেরলের সমস্যা পয়েছে পরবর্তীতে কিন্তু তাঁদের মধ্যেও থেকে যায় সেই আশঙ্কা। কোলেস্টেরল বাড়লেই হার্টের সমস্যা অবধারিত। আর তাই এমন সমস্যায় প্রথম থেকেই নিজেকে সচেতন থাকতে হবে। আজকাল সুগার, উচ্চরক্তচাপ, হাইপার টেনশন, কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইডের সমস্যা ঘরে ঘরে। অতিরিক্ত পরিমাণে জাঙ্ক ফুড খাওয়া, মানসিক চাপ এসবই হল কোলেস্টেরলের সমস্যার অন্যতম কারণ। যাঁদের বাড়িতে বেশ কিছু সদস্যের কোলেস্টেরলের সমস্যা রয়েছে তাঁদের কিন্তু হাই কোলেস্টেরল হবার সম্ভাবনা থেকে যায়। আর তাই অবশ্যই প্রথম থেকে রাশ টানুন খাবারে। নিয়মিত ভাবে ডায়েট মেনে চললে কোলেস্টেরলের সমস্যা থাকবে নিয়ন্ত্রণে। সেই সঙ্গে শরীরও থাকবে সুস্থ।
চিনি আর প্রসেসড ফুড একেবারেই বাদ দিতে হবে। সেই সঙ্গে কোনও রকম ভাজা খাবারও কিন্তু চলবে না। সব সময় বাড়ির তৈরি স্বাস্থ্যকর খাবার খান। ক্যালোরি মেপে খাবার খান। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার বেশি পরিমাণে খেতে হবে। বিভিন্ন রকম বাদাম, বীজ এসব রাখুন ডায়েটে। প্রোটিন জাতীয় খাবারে থাক গুরুত্ব। এছাড়াও অলিভ অয়েল দিয়ে বানানো খাবার খেতে পারলে ভাল। এসবের পাশাপাশি রোজ শরীরচর্চাও করতে হবে।
কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রোটিন বেশি করে খেতে হবে। কোনো রকম রেড মিট একেবারেই খাবেন না। মুরগির মাংসও চামড়া ছাড়া খাবার চেষ্টা করুন। কোলেস্টেরলের সমস্যা থাকলে হার্টের সমস্যা আসবেই। তাই কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখা কিন্তু খুব জরুরি।
ব্রেকফাস্টে ওটস খাওয়ার চেষ্টা করুন। ওটস খেলে কোলেস্টেরল যেমন নিয়ন্ত্রণে থাকে তেমনই কিন্তু শরীরও ভাল থাকে। ওটসের মধ্যে থাকে বিটা গ্লুটেন ও ফাইবার। যা কিন্তু ডায়াবিটিস মাত্রার মধ্যে রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও হার্টের জন্যও কিন্তু ভাল ওটস।
যে কোনও খাবারের স্বাদ বাড়াতে রসুনের জুড়ি মেলা ভার। তা আচার হোক বা নুডলস। রসুন প্রাকৃতিক ভাবেই কোলেস্টেরল রাখে নিয়ন্ত্রণে। তাই রোজ যে ভাবেই হোক রসুন খান। রসুনের ভর্তা খেতে পারেন গরম ভাতে। এছাড়াও রসুন, কালোজিরে, শুকনো লঙ্কা ভেজে মেখেও খেতে পারেন।
দিনের মধ্যে দুকাপ গ্রিন টি অন্তত খেতেই হবে। গ্রিন টি-এর মধ্যে থাকে পলিফেনলস অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা স্ট্রেস কমায়। সেই সঙ্গে কোলেস্টেরলও থাকে নিয়ন্ত্রণে। গরম অথবা ঠান্ডা যে ভাবে খুশি গ্রিন টি খেতে পারেন।