AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Raisin Benefits: সকালে খালি পেটে কটা কিশমিশ, উপকার বলে বলে…

Raisin For Health: কিশমিশ আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। নিয়ম করে খেতে পারলে একাধিক সমস্যার হাত থেকেও পাওয়া যায় মুক্তি। দেখে নিন রোজ কী ভাবে খাবেন

Raisin Benefits: সকালে খালি পেটে কটা কিশমিশ, উপকার বলে বলে...
কেন রোজ খাবেন কিশমিশ
| Edited By: | Updated on: May 19, 2022 | 1:53 PM
Share

ডায়েটের খাবার মানেই তা দেখতে এবং খেতে মোটেই ভাল হবে না এরকম একটা ধারণা রয়েছে আমাদের মনে। আর যে খাবার দেখতে যত ভাল সেই খাবার শরীরের জন্য ততটাই খারাপ- এই কোনও ধারণাই কিন্তু ঠিক নয়। শরীরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হল খাবার। খাবার থেকে আমরা যেমন রোজকার জীবনে চলার মত শক্তি পাই তেমনই কিছু খাবার রয়েছে যেগুলি খালি পেটে খেলে সেখান থেকে একাধিক উপকারিতাও কিন্তু পাওয়া যায়। আর তাই শরীর ঠিক রাখতে চাইলে কী খাওয়া উচিত তা বেছে নিতে হবে নিজেকেই। যাঁদের বাড়িতে নারায়ণ রয়েছে তাঁরা রোজ সকালে নিয়ম করে প্রসাদে দেন কাজপ আর কিশমিশ। তেমনই পায়েস থেকে পোলাও- কিশমিশ ছাড়া যেন ভাবাই যায় না। আর এই কিশমিশ যে শরীরের জন্য কতখানি উপকারী তা জানেন কি? উচ্চরক্তচাপ থেকে শুরু করে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা সবই কিন্তু দূর হয় এই কিশমিশের গুণেই।

কিশমিশ হল শুকিয়ে যাওয়া আঙুর। এবার এই খাবারে রয়েছে অনেকটা ভিটামিন, মিনেরল অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস, পলিফেনল এবং ডায়েটরি ফাইবার। আরবের মত  দেশে সকালে উঠেই মুখে কিশমিশ রাখার চল রয়েছে। অনেকেই কিশমিশ ভেজানো জল খান। এছাড়াও রোজ কাজু, কিশমিশ, আমন্ড, পেস্তা একমুঠো কপে খেতে পারলেও একাধিক উপকারিতা পাবেন।

কিশমিশের গুণাগুণ

পেট পরিষ্কার রাখতে- আজকাল আমাদের যেমন জীবনযাত্রা তাতে অধিকাংশই চটজলদি খাবারে ভরসা করেন। সেই তালিকায় থাকে স্যান্ডউইচ, বার্গার, পিৎজার মত খাবার। চটজলদি খাবার হিসেবে ওটস থাকলেও অনেকে তা পছন্দ করেন না। এবার দিনের পর দিন এই সব ক্যালোরি সমৃদ্ধ খাবার খেলে পেটের সমস্যা হবেই। পেট পরিষ্কার না হলে গ্যাস-অম্বল, বুকজ্বালা, হজম না হওয়া এসব লেগে থাকবে। কিন্তু দারুণ কাজে আসে কিশমিশ। কিশমিশে রয়েছে ইনসলিউবল ফাইবার যা আমাদের পেট পরিষ্কার করে।

পুষ্টির ঘাটতি মেটাতে- এখনকার দিনে অধিকাংশ মানুষের ওজন বেশি হলেও এমন কিছু মানুষো কিন্তু আছেন যাঁরা অপুষ্টি জনিত সমস্যায় ভুগছেন। যাঁদের ওজন প্রয়োজনের তুলনায় কম। সেই সব মানুষকে রোজ কিশমিস খাওয়াতে পারলে খুবই ভাল। ৭ দিনের মধ্যেই ফিরবে জেল্লা। এর মধ্যে থাকা গ্লুকোজ, ফ্রুকটোজ সুগার লেভেলও রাখে নিয়ন্ত্রণে।

ক্যানসার প্রতিরোধে- কিশমিশের মধ্যে থাকে বেশ কিছু ক্যানসাররোধী উপাদান। থাকে ক্যাটেটিনস ও পলিফেনল। যা ক্যানসার ঠেকাতে সাহায্য করে।

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে- কিশমিসের মধ্যে রয়েছে পটাশিয়াম। ফলে তা আমাদের রক্তচাপ রাখে নিয়ন্ত্রণে।

ইমিউনিটি বাড়াতে- কিশমিশের মধ্যে আছে ভিটামিন, খনিজ। এছাড়াও কিশমিশ অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর। তাই নিয়মিত খেতে পারলে রোগ-প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়ে। তাই নির্ভয়ে খান কিশমিশ।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।