শীত মানেই চারিদিকে সবজির ছড়াছড়ি। গাজর, মূলো, পালং, বিট, শিম, বিনস, টমেটো, কড়াইশুঁটি আরও কতকিছু। এরমাঝে ঝাঁকা থেকে উঁকি মারছে কচি লাউও। শীতের দিনে লাউ চিংড়ি, লাউ ঘন্ট বা লাউয়ের পায়েস খেতে মন্দ লাগে না।
আমাদের দেশে সারাবছরই মাচায় ফলে লাউ। এই লাউয়ের বাংলা রূপকথায় দারুণ একটি জায়গাও রয়েছে। সেই সঙ্গে লাউয়ের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ পুষ্টি। ফলে একাধিক রোগ সমস্যাও দূরে থাকে।
লাউয়ের দাম কখনই খুব একটা বেশি নয়। গ্রাম বাংলায় এই সবজি কিনে খাওয়ারও প্রয়োজন পড়ে না। এমনিই বাড়িতে বাড়িতে পাওয়া যায়। পাশাপাশি একাধিক রোগ সমস্যাও দূর করে।
শরীর ঠাণ্ডা রাখার একাধিক গুণ রয়েছে লাউ এর মধ্যে। আজকাল সকলের মনের মধ্যেই প্রচুর চাপ। সেই চাপ থেকে দূরে রাখতে কাজে আসে লাউ। পেট, মাথা ঠাণ্ডা রাখে। মন শান্ত রাখতেও উপকারী হল লাউ।
হার্টের জন্যেও উপকারী লাউ। তবে রান্না করে নয়, লাউয়ের জুস বানিয়ে খান। সপ্তাহে তিনদিন এই জুস খেলে সুগার, প্রেসারও থাকবে নিয়ন্ত্রণে।
আজকাল অধিকাংশ রোগের সূত্রপাত হল অতিরিক্ত ওজন। ওজন বাড়লেই সেখান থেকে আসবে একাধিক সমস্যা। লাউয়ের মধ্যে রয়েছে আয়রন, ভিটামিন এবং পটাশিয়াম। যা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। সুস্থ থাকতে আজ থেকেই খাওয়া শুরু করুন।
চিন্তায় রাতে ঘুম আসছে না। কিংবা ঘুম আসলেও মধ্যরাতে ভেঙে যাচ্ছে? এসব ক্ষেত্রেও কাজে লাগানো যায় লাউকে। লাউ দিয়ে ডাল খেলে কিংবা লাউয়ের পায়েস বানিয়ে খেলেই তফাত বুঝতে পারবেন ১ সপ্তাহেই।