Raisin with jaggery water: গুড়ের সঙ্গে এই জিনিস খান আর দূরে রাখুন রোগযোগ!
Health Tips: গুড় আর কিশমিশ দুই আমাদের শরীরের জন্য ভাল। এছাড়াও এই দুই উপাদানের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ খনিজ, আয়রন। তবে দুটি উপাদানই কিন্তু মেপে খেতে হবে
ওজন কমানোর (Weight Loss) জন্য সবাই কত রকমই না চেষ্টা করছেন। কিন্তু মার্চ মাসে পাল্লা দিয়ে যেমন বাড়ছে কাজের চাপ (Work Load) তার সঙ্গে কিন্তু বাড়ছে ওজনও। রোজদিন ঠিক ভাবে শরীরচর্চা করার সময় সুযোগও টুকুও কিন্তু অনেকেই পাচ্ছেন না। ফলে যেটুকু ওজন ঝরেছিল তাও আবার জমতে শুরু করেছেন। সদ্য পেরিয়েছে উৎসব-পার্টির মাস। জমিয়ে খাওয়া-দাওয়া, পার্টি, আনন্দ বাদ পড়েনি কিছুই । কিন্তু তারপর থেকে আবার সেই এক রুটিন। শরীরচর্চা শুরু করতে চেয়েও সময় হচ্ছে না। আর তাই এবার রোজকার খাওয়াদাওয়ায় আনুন একটু পরিবর্তন। ওজন কমানোর জন্য লেবুর জল, জিরের জল, ইষদুষ্ণ জলে মধু- অনেক কিছুই তো হল। এবার খান কিশমিশ আর গুড়ের জল (Raisin with jaggery water)।
শুনে একটু অবাক লাগাই সত্যি, কারণ এই পানীয়ের মধ্যে আছে প্রচুর পরিমাণ মিষ্টি। কিন্তু নতুন সমীক্ষা বলছে এই দুইয়ের যুগলবন্দিতেই কিন্তু এবার কমবে ওজন। জল গরম করে তাতে তিন থেকে চারটি কিশমিশ ভিজিয়ে রাখুন সারারাত। সকালে এক গ্লাস জলে ৫ গ্রাম আখের গুড় মেশান। এবার সেই জল খেয়ে নিন। কিংবা আখের গুড় চিবিয়ে খেয়ে তারপর ইষদুষ্ণ জলও খেতে পারেন। এতে হজমের কোনও সমস্যা হবে না। আর এই জল খাওয়ার ১০ মিনিট পর কিশমিশ খেতে পারেন। কিংবা এই জল খাওয়ার ৩০ মিনিট পর টকদইয়ের সঙ্গে ওই কিশমিশগুলো মিশিয়ে খান। নিয়মিত এই ভাবে কিশমিশ আর গুড় খেলে কিন্তু ওজন কমবে। সেই সঙ্গে বিপাক ক্রিয়া বাড়বে। হজমের সমস্যা দূর হবে এবং অন্ত্রের যাবতীয় গোলযোগও কাটবে।
কিশমিশ আর গুড়কে সুপার ফুডের আখ্যা দিয়েছেন পুষ্টিবিদরা। কারণ এই দুইয়ের মিশ্রণ যেমন আমাদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে তেমনই কিন্তু শ্বাসযন্ত্র পরিষ্কার রাখতেও সাহায্য করে। সেই সঙ্গে হাড়কে শক্তিশালী করে। ওজন কমায় এবং বিপাক ক্রিয়া বাড়িয়ে তোলে। গুড়ের মধ্যে কোনও ক্যলোরি নেই। আছে প্রচুর প্রচুর ভিটামিন, খনিজ। যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
তবে গুড় কী ভাবে ওজন কমায়? গুড়ের মধ্যে ক্যালোরি খুব কম। ২০ গ্রাম গুড়ের মধ্যে ক্যালোরির পরিমাণ ৩৮। যা আমাদের শরীরে ইলেকট্রোলাইট স্তরের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করে। শরীরে জল ধরে রাখতে সাহায্য করে। তবে গুড়ের এত উপকারিতে শুনে আনন্দে অতিরিক্ত খেয়ে ফেলবেন না। কোনও কিছুরই কিন্তু বাড়াবাড়ি ভাল নয়।
আর কিশমিশের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার। আছে খনিজ। একবার তাই কিশমিশ খেলে অনেকক্ষণ পর্যন্ত কিন্তু খিদে পায় না। এছাড়াও আয়রন, পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম শরীরের অনেক উপকারে লাগে। সেই সঙ্গে বিপাক ক্রিয়া বাড়ে এবং ওজন কমে তাড়াতাড়ি। সুতরাং ওজন কমাতে গুড় আর কিশমিশ দুটোই কিন্তু দারুণ। তবে নিয়মিত খেলে পরিমিত খান। কোনও সুপারফুডই অত্যধিক খেলে ওজন বাড়ে। আর যদি আপনার ডায়াবিটিস থাকে তাহলে অবশ্যই খাওয়ার আগে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।