অনেকেরই ধারণা মুঠোভর্তি কাজুবাদাম খেলেই তরতরিয়ে বাড়বে ওজন। কাজুর মধ্যে ক্যালেরির পরিমাণ বেশি তা ঠিক, কিন্তু কাজু শরীরের একাধিক কাজে লাগে। কাজুর মধ্যে থাকে স্বাস্থ্যকর চর্বি, থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এসব কারণের জন্য কাজু স্বাদেও খাসা। মিড মর্নিং স্ন্যাকস হিসেবে ২ টো কাজু খেতেই পারেন। এতে বাড়বে না ওজন। বরং মুক্তি পাবেন একাধিক সমস্যার হাত থেকে। বিশেষত যাঁরা হরমোনের ভারসাম্যহীনতায় ভোগেন।
কাজু বাদামের মধ্যে থাকে অ্যানাকার্ডিক অ্যাসিড। যা আমাদের শরীরের বিভিন্ন হরমোন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও ইস্ট্রোজেন নিয়ন্ত্রণে রাখতেও ভূমিকা রয়েছে এই কাজুবাদামের।
মহিলাদের শরীরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হল ইস্ট্রোজেন। শরীরে ইস্ট্রোজেনের পরিমাণে ভারসাম্য না থারলে সেখান থেকে একাধিক সমস্যা আসতে পারে। হার্টের সমস্যা, হাড়ের সমস্যা এসব তো থাকেই। এছাড়াও ফাইব্রয়েড, PCOS, ওজন বেড়ে যাওয়া, অনিয়মিত পিরিয়ডসের মত একাধিক সমস্যা বাড়ে। এক্ষেত্রেও কাজ দেয় কাজুবাদাম।
আজকাল মহিলাদের মধ্যে জরায়ু টিউমারের মত সমস্যাও বেড়েছে। এর প্রধান কারণ হল ইস্ট্রোজেন এবং প্রোজেস্টেরনের তারতম্য। ফাইব্রয়েডের কারণও কিন্তু এই হরমোনের ভারসাম্যহীনতা। এক্ষেত্রেও সুরক্ষা কবচ কাজুবাদাম।
একমুঠো কাজুর মধ্যে থাকে ২০ মিলিগ্রাম অ্যানাকার্ডিক অ্যাসিড। পিরিয়ডসের আগে যে পিএমএসের সমস্যা হয়, যাঁদের অতিরিক্ত রক্তপাত হয়, জরায়ুতে ফাইব্রয়েড রয়েছে তাঁরা পিরিয়ডের ১০ দিন আগে থেকে কাজু খান। স্তন ক্যানসার রুখেতও ভূমিকা রয়েছে কাজুর।