প্রতিদিন রাতে দই খাচ্ছেন নাকি! মারাত্মক অসুখ থেকে বাঁচতে কোন খাবার কখন খাবেন, জানুন
যখন-তখন যা খুশি খেলেই শরীর ভাল থাকে না। পুষ্টিকর খাবার খাওয়ারও নির্দিষ্ট সময় আছে। না মানলেই ঘনিয়ে আসতে পারে চরম বিপদ।
প্রচলিত আছে, বিকেলের পর কোনও ফল খেতে নেই। যদিও অনেকে দ্বিমত পোষণ করেন এ বিষয়ে। নিউট্রিশনিস্টরা বলেন শুধু ফল নয়, প্রক্যেতটি খাবার খাওয়ার উপযুক্ত সময় আছে। ঘড়ি ধরে খেলে মেলে উপকার। আবার যখন-তখন যা খুশি খেলে হতে পারে চরম বিপদ।
১. কলা – বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, কাঁচা খাবার খেতে নেই বিকেল ৪টের পর। বলেন, তাতে শরীরের হজমে সহায়ক এনজাইমের পরিমাণ কমে যায়। ফলে শরীর ফুলে যেতে পারে। বিভিন্ন অঙ্গে যন্ত্রণা শুরু হতে পারে। যে কারণে কলা খাওয়ার আদর্শ সময় দুপুরবেলা।
২. দই – দই খাওয়ার আদর্শ সময় সকালবেলা। আয়ুর্বেদ বলছে, দই শরীরের জন্য উপকারী। কিন্তু রাতে খেলে বিষের মতো কাজ করতে পারে। দইয়ে আছে হাই প্রোটিন। ফলে শরীরের শ্লেষ উৎপাদন বাড়িয়ে দেয় অনেকটাই। রাতে শরীরে শ্লেষের পরিমাণ বেড়ে গেলে ঠান্ডা লেগে যেতে পারে আপনার। ফলে সকালে ব্রেকফাস্টের সময় দই খান। তখনই উপকার।
৩. দুধ – ওয়ার্ক আউট করার আগে দুধ খাবেন না কোনও মতেই। দুধে আছে প্রচুর ফ্যাট। হজমশক্তি কমিয়ে দেয় এই তরল খাদ্যটি। তার উপর বমি ভাব হতে পারে। পেট ব্যথাও করতে পারে। দুধ খাওয়ার আদর্শ সময় রাত। রাতে ঘুমতে যাওয়ার আগেই পান করুন দুধ।
৪. আপেল – অনেকেই আছেন খিদে পেলেই আপেলে কামড় বসিয়ে দেন। এমনটা কিন্তু কখনওই করবেন না। আপেল খাওয়ারও নির্দিষ্ট সময় আছে। বিকেল ৬টার পর আপেল খেলে শরীরে অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। রাতে আপেল হজম হতে চায় না মোটে। তাই সকালেই খান।
৫. বাদাম – খিদে পেলে বাদাম খান অনেকেই। অল্পের মধ্যেই পেট ভরিয়ে দেয় এই খাদ্য। বাদামের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, প্রোটিন ও ফাইবার। ফলে অল্পেই পেট ভরে যায়। রাতের বেলায় অনেকে কম খাবার খেয়ে মুঠো-মুঠো বাদাম খেয়ে ফেলেন। এতে আর কিছু হোক না হোক আপনার ওজন বাড়তে পারে। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলেন, রাতেই বাদাম খাওয়া ভালো। তবে কিন্তু পরিমাণ বুঝে। এতে রয়েছে ট্রিপটোফ্যান। হ্যাপি হরমোন সেরোটোনিন নিঃসরণে সাহায্য করে। রাতে ভাল ঘুম এনে দেয় দু’চোখের পাতায়। ঘুমের হরমোন মেলাটোনিনের উৎপাদন বাড়ায় বাদাম।
আরও পড়ুন: Food Recipe: রবিবার ব্রেকফাস্টে হয়ে যাক বেসনের ছিল্লা!
আরও পড়ুন: দেখুন ছবিতে; দু’সপ্তাহে প্রায় ৪৫ কিলো ওজন কমতে পারে মোনো ডায়েটে