অ্যাসিডিটির সমস্যায় ভোগেন না এমন মানুষের সংখ্যা হাতে গোনা। আর এই অ্যাসিডিটির জন্য দায়ী নিজেরাই। চা কিংবা কফি বাঙালির নেশা। আর তাই অনেকসময় অতিরিক্ত পরিমাণ চা-কফি খাওয়া হয়ে যায়। এই ক্যাফেইনও কিন্তু অ্যাসিডিটির অন্যতম কারণ। এছাড়াও তেল-মশলাদার খাবার তো আছেই। গ্যাস-অম্বল হলেই মুঠো মুঠো অ্যান্টাসিড খাওয়া অভ্যাস। অ্যান্টাসিড শরীরের জন্য যে কত ক্ষতিকারক তা সকলেই জানেন। তাই পুষ্টিবিদ নমামি আগরওয়াল দিচ্ছেন বিশেষ পরামর্শ। এই সব ঘরোয়া টোটকা মানতে পারলে উপকার পাবেন অ্যান্টাসিডের থেকেও বেশি।
রেস্তোরাঁ থেকে বাড়ি- ভুরিভোজের পর শেষপাতে দেওয়া হয় মৌরি। মুখশুদ্ধি হিসেবেই ব্যবহার করা হয় মৌরি। রোজ এককাপ গরম জলের সঙ্গে একচামচ মৌরি ভিজিয়ে নিন। পরদিন সকালে তা ছেঁকে খেয়ে নিন। এভাবে রোজ খেতে পারলে উপকার পাবেন।
সেই প্রাচীন কাল থেকে অ্যাসিডিটির সমস্যা রুখতে ব্যবহার করা হয় জওয়ান। হাতে একচামচ জওয়ান নিয়ে ভাল করে চিবিয়ে নিন। এবার একগ্লাস ইষদুষ্ণ গরম জল খান। এতে গ্যাস, অম্বলের সমস্যা সহজে সমাধান হয়ে যায়।
অ্যাসিডিটির থেকে মুক্তি দিতে খুব ভাল কাজ করে কালোজিরে। এককাপ মাপের জল নিয়ে তাতে এক চামচ কালোজিরে দিয়ে ভাল করে ফুটিয়ে নিন। এবার তা ছেঁকে নিয়ে ওর মধ্যে মধু মিশিয়ে খেয়ে নিলেও পাবেন চটজলদি উপকার।
পাটালি গুড়ও অ্যাসিডিটির সমস্যায় খুব ভাল কাজ করে। পাটালির মধ্যে থাকে পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম। শরীরে অম্লত্ব ও ক্ষারত্বের ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য খুব ভাল এই দুই উপাদান। পাকস্থলিতে প্রয়োজনীয় মিউকাস তৈরিতেও সাহায্য করে এই দুই উপাদান।