সুস্থ থাকতে হলে যে কোনও রোগ জ্বালা থেকে দূরে থাকতে হবে। তবুও ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল, কিডনির সমস্যা, ক্যানসারের মত রোগকে ঠেকানো যাচ্ছে কই! শত নিয়ম মেনে চলা সত্ত্বেও মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন এই সব ব্যাধিতে। এসব নিয়ে এখন অনেক কথা হয়, আলোচনা হয়। মানুষও আগের থেকে অনেক বেশি সচেতন হয়েছে।
এসব ছাড়াও একটি রোগ নিয়ে একেবারে কতা হয় না তা হল ডিপ্রেশন। ডিপ্রেশন একটি মানসিক ব্যাধি। অন্যান্য অসুখের মত এই সমস্যাতেও চিকিৎসকের কাছে যেতে হয়। যদিও অধিকাংশ মানুষ তা মানতেই চান না। বরং গোপনে রোগ চেপে রেখে দেন।
আর এই রোগ চেপে রাখলে সেখান থেকে একাধিক সমস্য়া আসে। এর মধ্যে প্রথমটিই হল হার্টের সমস্যা। মানসিক চাপের কারণে স্ট্রেস হরমোন বেড়ে যায়। যে কারণে হৃদস্পন্দনের গতি বেড়ে যায়। সেই সঙ্গে রক্তনালী শক্ত হয়ে যায়। এর ফলেই কিন্তু হার্ট অ্যার্টাকের মত সমস্যা আসে। আর তাই যাঁরা ডিপ্রেশনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন তাঁদের মধ্যে হৃদরোগের ঝুঁকি বেশি।
ডিপ্রেশন থেকে প্রচুর মানুষ অতিরিক্ত পরিমাণে মদ্যপান করেন। দিনের পর দিন এভাবে মদ্যপান করলে ফ্যাটি লিভারের মত সমস্যা আসতে পারে। এমনকী লিভার পচেও যেতে পারে। সেই সঙ্গে লিভারের অন্যান্য রোগও আসে।
ডিপ্রেশন থেকে কিডনির সমস্যাও হতে পারে। ডিপ্রেশনে থাকলে ঘুম কম হয়। পুষ্টিকর খাবার কম খাওয়া হয়। ঘুম কম হলে, পুষ্টিকর খাবার ঠিকভাবে না খেলে ডায়াবেটিস হবেই। আর টাইপ ২ ডায়াবেটিসে কিডনির উপর চাপ পড়ে সবচাইতে বেশি।
মন মেজাজ খারাপ থাকলে খাবার ঠিকভাবে হজম হয় না। এছাড়াও এই সমস্যায় শরীরের রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতাও কমে যায় অনেকখানি। সর্দি, কাশির সমস্যা বছরভর লেগেই থাকে। একই সঙ্গে পেটের গন্ডোগল, হজমের সমস্যা এসবও হয় যদি ডিপ্রেশন থাকে। হজমশক্তির সমস্যার মূলেও থাকে এই ডিপ্রেশন।