শীতের মরসুমে মাথাব্যথা ও মাইগ্রেনের মতো সমস্যা হওয়াটা নতুন কিছু নয়। বরং এই সময় সারা বছরের থেকে একটু বেশিই ভোগায় মাইগ্রেনের ব্যথা। বিশেষ করে যাঁরা আগে থেকেই মাইগ্রেনে ভুগছেন। এই ঋতুতে তাঁদের উপসর্গ আরও বাড়তে শুরু করে।
ঠান্ডা বাতাস, নিম্ন তাপমাত্রা মাইগ্রেনের ব্যথার কারণ হতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে খারাপ ডায়েট এবং ঘুমের অভাবও মাইগ্রেনের কারণ হতে পারে। আর কী কী কারণে শীতকালে বাড়ে মাইগ্রেন। কীভাবে এর থেকে মিলবে মুক্তি?
শীতে শরীরের রক্তনালী সঙ্কুচিত হতে পারে। যার কারণে মস্তিষ্ক ঠিকমতো অক্সিজেন পায় না। এতে মাথাব্যথা ও মাইগ্রেনের সমস্যা দেখা যায়। শীতকালে সূর্যের আলো কম থাকে, যার কারণে শরীরে সেরোটোনিন হরমোনের মাত্রা কমতে শুরু করে। সেরোটোনিনের ক্ষয়ও মাইগ্রেনকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।
খুব বেশি হিটার চালানোর কারণেও এই সমস্যা হতে পারে। কারণ হিটার খুব বেশি চালালে বাতাস শুকিয়ে যায়। এতে মাথায় ভারি ভাব দেখা দেয়। এর ফলে মাইগ্রেনও হতে পারে।
কীভাবে বাঁচবেন - চিকিৎসকদের মতে মাইগ্রেন থেকে মুক্তি পেতে হলে, নিজেকে হাইড্রেটড রাখাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষকে হাইড্রেট থাকতে হলে দিনে অন্তত ৭-৮ গ্লাস জল পান করা প্রয়োজন।
ঠান্ডা লাগলে সর্দি-কাশির সঙ্গেই বাড়ে মাইগ্রেনের সমস্যাও। তাই ঠান্ডা লাগা এড়াতে এড়াতে, কান এবং মাথা ভালভাবে ঢেকে রাখুন। মাইগ্রেনের রোগীদের প্রচণ্ড ঠান্ডা বাতাস এবং দীর্ঘক্ষণ ফোন ব্যবহার এড়িয়ে চলতে হবে।
জাঙ্ক ফুড এবং অতিরিক্ত ক্যাফেইন গ্রহণ মাথাব্যথা বাড়িয়ে তুলতে পারে। তার চেয়ে বরং আপনার খাদ্যতালিকায় সবুজ শাকসবজি রাখুন। মৌসুমি ফল খেতে ভুলবেন না এবং অ্যালকোহল এবং ধূমপান এড়িয়ে চলুন।
সকালে হালকা ব্যায়াম করুন, এটি মাইগ্রেনের ঝুঁকি কমাতে পারে। প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমানো এবং জেগে ওঠার অভ্যাস করুন। যদি বারবার মাইগ্রেনের সমস্যা বা মাথাব্যথা হয় তা হলে ফেলে না রেখে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। নিজে ডাক্তারি না করাই ভাল। (সব ছবি - Getty Images)