ওজন কমানোর জন্য অনেকেই সকাল-বিকাল গ্রিন টি-র কাপে চুমুক দেন। তাতেও যে বিশেষ কিছু লাভ মেলে, তা কিন্তু নয়। তাহলে কোন উপায়ে গ্রিন টি খেলে উপকারিতা মিলবে? চলুন জেনে নেওয়া যাক...
গ্রিন টি পলিফেনল ও ফ্ল্যাভোনয়েডের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে পরিপূর্ণ। এটি শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। নিয়ম করে গ্রিন টিতে চুমুক দিলে ক্যানসার, স্ট্রোক ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে।
ভরপেট খাবার খাওয়ার পর গ্রিন টি খাওয়া উচিত নয়। এতে হজমের ব্যাঘাত ঘটে। গ্রিন টি স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। কিন্তু খাবার খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গ্রিন টি না পান করাই ভাল। এতে কোনও লাভ হয় না।
ওজন কমানোর জন্য অনেকেই খালি পেটেও গ্রিন টি পান করেন। এই অভ্যাসও কিন্তু ভাল নয়। খালি পেটে ক্যাফেইন যুক্ত পানীয় পান করলে শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।
চা খাওয়ার পর অনেকেই ওষুধ খান। এই ভুল একদম করবেন না। গ্রিন টিয়ের সঙ্গে ওষুধ খেলে শরীরে বিষক্রিয়া হতে পারে। এতে ওষুধের কাজও নষ্ট হয়ে যেতে পারে। পাশাপাশি বদহজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
হালকা কোনও খাবার খেয়ে কিংবা স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকসের সঙ্গে আপনি গ্রিন টি পান করতে পারেন। কিন্তু দিনে কতবার গ্রিন টি খাওয়া উচিত সেটা কি জানেন? বেশি গ্রিন টি খেলেই যে চটজলদি কাজ দেবে এমনটা নয়।
দিনে ৩ বারের বেশি গ্রিন টি পান করলে ঘুমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। অতিরিক্ত পরিমাণে ক্যাফেইন স্বাস্থ্যের জন্য ভাল নয়। তাই দিনে ২-৩ বারের বেশি গ্রিন টি পান করবেন না। এতেই উপকার মিলবে।