বিশ্বজুড়ে ক্রমেই বাড়ছে ডায়াবেটিসে আক্রান্তের সংখ্যা। ছোট থেকে বড় সকলেই আক্রান্ত হচ্ছেন ডায়াবেটিসে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্তের সংখ্যা সবচাইতে বেশি। আর এর জন্য বিশেষজ্ঞরা দায়ী করছেন আমাদের রোজকার জীবনযাত্রাকেই।
সারাদিন একটানা বসে কাজ করা, অতিরিক্ত ক্যালোরির খাবার খাওয়া, কোনও রকম শরীরচর্চা না করলে তখনই ডায়াবেটিসের সমস্যা বাড়ে। অগ্ন্যাশয় থেকে ইনসুলিন হরমোন তৈরি হয়। এই হরমোন যদি খুব কম পরিমাণে তৈরি হয় বা একেবারেই না তৈরি হয় তখনই কিন্তু সমস্যা বাড়ে।
আর তাই ডায়াবেটিসের রোগীদের চিনি, চাল, আলু এসব থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়। চিনির পরিবর্তে মধু বা গুড় খেতে বলা হয়। কিন্তু ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য কি আদৌ উপযুক্ত মধু?
মধুর মধ্যে গ্লুকোজের চেয়ে ফ্রুকটোজের ভাগ বেশি। ফ্রুকটোজ আর গ্লুকোজ উভয়ই হল শর্করা। আর তাই ১ চামচ চিনির মধ্যে যে কার্বোহাইড্রেট থাকে মধুতে তার মধ্যে অনেক বেশি পরিমাণে থাকে। তবে মধুর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স চিনির থেকে কম। ফলে চিনির তুলনায় মধু ব্যবহার করলে রক্ত শর্করার পরিমাণ কিছুটা হলেও কম হবে।
মধুর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও। যে কারণে চিনির থেকে মধু বেশি উপকারী বলে মত বিশেষজ্ঞদের। তবে মধু খেলেও তা পরিমাণে খেতে হবে। বেশি খেলেই তখন কোলেস্টেরল বেড়ে যাবে।
কোন খাবার কতটা পরিমাণে খাচ্ছেন তার উপরই নির্ভর করে যে সুগার আদৌ বাড়বে কিনা। খাবারের পরিমাণ ঠিক থাকলে কোনও রকম সমস্যা হয় না। কোনও কিছু বেশি খেলেই বরং অসুবিধে। আর তাই চিনি বা মধু যাই-ই খাওয়া হোক না কেন তা সীমিত পরিমাণে খেতে হবে।