পুষ্টিবিদদের মতে, প্রতিদিন এক বাটি করে ওটস খেলে রোগের ঝুঁকি কমে যায়। ওটস ব্লাড সুগার, ব্যাড কোলেস্টেরল সব বশে থাকে। যাঁরা ওজন কমাচ্ছেন এবং ডায়াবেটিস রোগীদের জলখাবারে প্রতিদিন ওটস রাখা জরুরি।
কম গ্লাইসেমিক সূচক এবং ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ায় ওটস ওজন কমায়। পাশাপাশি রক্তে শর্করার মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। সাধারণত জলখাবারেই ওটস খাওয়া হয়ে থাকে। বেশিরভাগ মানুষ দই কিংবা দুধ দিয়ে ওটস খান।
১ কাপ ওটসে ৩০৭ ক্যালোরি, ১০ গ্রাম প্রোটিন এবং ৮ গ্রাম ডায়েটরি ফাইবার রয়েছে। সুতরাং, ওটস খেলে ওজন কমবে গ্যারান্টি। কিন্তু প্রতিদিন একই উপায়ে ওটস খাওয়া যায় না। তার চেয়ে ট্রাই করুন সহজ ৫টি রেসিপি, যা আপনি ব্রেকফাস্টে খেতে পারেন।
ওটসের খিচুড়ি বানিয়ে নিন। পছন্দমতো সবজি কেটে নিন। টমেটো, পেঁয়াজ ও আদা কুচিয়ে নিন। শুকনো কড়াইতে ওটসের রোস্ট করুন। মুগ ডাল সেদ্ধ করুন। এবার কড়াইতে ঘি গরম করে গোটা সরষে, কারিপাতা, পেঁয়াজ, লঙ্কা, আদা ও জিরে দিন। এতে সবজি ভেজে নিন। ওটস ও ডাল দিয়ে দিন। স্বাদ অনুযায়ী নুন, চিনি ও হলুদ দিন। পরিমাণমতো জল দিয়ে পাঁচ মিনিট রান্না করে নিলেই তৈরি ওটসের খিচুড়ি।
ওটসের ইডলিও বানাতে পারেন। শুধু চালের বদলে ওটস ব্যবহার করুন। বিউলির ডাল ও ওটস জলে ভিজিয়ে রাখুন। তারপর এটা এক চিমটে মেথি দিয়ে বেটে নিন। এই মিশ্রণটি সারারাত ঢাকা দিয়ে রেখে দিন। পরদিন সকালে ইডলি বানানোর পাত্রে ব্যাটার দিয়ে সেদ্ধ করে নিলেই তৈরি ওটসের ইডলি।
ওটসের পায়েস খেতে পারেন। দুধ গরম করুন। এতে তেজপাতা, এলাচ থেঁতো করে দিয়ে দিন। খোয়া, কন্ডেস মিল্ক মিশিয়ে দিন। দুধ ফুটে উঠলে এতে কাজু, কিশমিশ দিতে পারেন। শেষে ওটস দিয়ে দিন। ওটস সেদ্ধ হয়ে গেলে নামিয়ে নিন।
স্বাদ বদলের জন্য ওটসের পোলাও বানাতে পারেন। এক চামচ ঘি গরম করে এতে শুকনো লঙ্কা, দারুচিনি, এলাচ, লবঙ্গ, তেজপাতা দিয়ে দিন। এতে পছন্দমতো সবজি দিয়ে ভেজে নিতে পারেন। শেষে ওটস, নুন, চিনি দিয়ে নিন। অল্প জল দিন। কম আঁচে রেখে নেড়ে নিলেই তৈরি ওটসের পোলাও।
হাতে সময় কম থাকলে ওভারনাইট ওটস বানাতে পারেন। একগ্লাস দুধ নিন। এর মধ্যে এক চামচ ওটস, এক চামচ চিয়া সিডস, কফি গুঁড়ো, মধু মিশিয়ে দিন। এতে অল্প ভ্যানিলা এসেন্স মিশিয়ে এটি সারারাত ফ্রিজে রেখে দিন। পরদিন সকালে তাজা ফলের সঙ্গে খান ওভারনাইট ওটস।