ওজন কমানোর জন্য অনেকেই ডায়েট করেন। কিন্তু ডায়েট মেনে সময়ে খাবার খেয়ে, কম তেল-মশলার খাবার খাওয়ার পরেও যেন ওজন কমছে না। সেই সঙ্গে শরীরে একাধিক সমস্যা। কখনও ক্লান্তি, কখনও অ্যালার্জির সমস্যা আবার কখনও পেশির ব্যথা। এদিকে আপনি ঠিক বুঝতেই পারছেন না কেন এই সমস্যা হচ্ছে।
জানেন কি, এর জন্য আপনার ব্লাডগ্রুপও দায়ী হতে পারে? ন্যাচারোপাথ বিশেষজ্ঞ পিটার ডি আডামো তাঁর বইতে এই ব্লাডগ্রুপ ডায়েটের কথা উল্লেখ করেন। সেখানেই তিনি বলেন ব্লাডগ্রুপ মেনে ডায়েট কিন্তু সবচাইতে বেশি কার্যকর। কারণ খাবারের সঙ্গে রক্তের গ্রুপের রাসায়নিক প্রতিক্রিয়া হয়। ফলে রক্তের গ্রুপ মেনে খাবার খেলে কিন্তু অনেক সহজে তা হজম হয়। সেই সঙ্গে এনার্জি বাড়ে আর রোগ প্রতিরোধম ক্ষমতাও কিন্তু বাড়ে।
আর এই নিয়মে প্রত্যেক মানুষের ডায়েট আলাদা। ডায়েটে সুষম খাবার যেমন মাছ, মাংস, ডিম, সবজি ফল এসব তো থাকেই। কিন্তু জানেন কি এই সব ব্লাড গ্রুপের মানুষদের জন্য একরকম বিষ হল চিকেন?
যাঁদের ব্লাড গ্রুপ O, তাঁদের পেটের সমস্যা বেশি হয়। তাই সব সময় হালকা খাবার, চর্বিহীন মাছ, মাংস, বেশি করে শাক-সবজি এসব খেতে হবে। এক্ষেত্রে মাংস বাদ দিতে পারলেই সবচাইতে ভাল।
আবার যাঁদের ব্লা়ডগ্রুপ A, তাঁদের বিভিন্ন বীজ, শস্যদানা আর মাংসই বেশি করে খেতে বলা হচ্ছে। কারণ এঁদের নানা রকম সংক্রমণজনিত সমস্যা থাকে। যে কারণে দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলা জরুরি।
সবথেকে বেশি মানুষ রয়েছে B গ্রুপে। এই গ্রুপের মানুষদের চিকেন, ডিম, সবুজ শাক-সবজি, লো-ফ্যাট মিল্ক এসব বেশি করে খেতে বলা হয়। সুগার আর হার্টের সমস্যার সম্ভাবনা থাকার কারণে টমেটো, মুসুরের ডাল, ভুট্টা, গম, বাদাম একদম কম খেতে বলা হয়।
AB গ্রুপের মানুষদের রক্তে অ্যাসিডের পরিমাণ কম। তাই তাঁদেরও চিকেন খাওয়া একেবারেই বারণ। সেই সঙ্গে চা-কফি, অ্যালকোহল, ধূমপানও এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়।