কফি পান করার অনেক উপকারিতা রয়েছে। আর যদি গ্রিন কফি পান করেন সেই উপকারিতাগুলিই দ্বিগুণ হয়ে যাবে। আদতে কফির দানা একই। কফির দানা গাছ থেকে তুলে রোস্ট না করে যদি রোদে শুকনো করে দেয় তখন সেটা সবুজই থেকে যায়। সেটাই গ্রিন কফি নামে পরিচিত।
কফি রোস্ট করার কারণে অনেক পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায়। সেই ক্ষেত্রে গ্রিন কফি পান করা বেশি বুদ্ধিমানের কাজ হবে। যদিও সাধারণ কফি ও গ্রিন কফির মধ্যে বেশির ভাগ স্বাস্থ্য উপকারিতাই এক। কিন্তু ওজন কমানোর বিষয়ে গ্রিন কফি বেশি উপকারী।
স্বাস্থ্যের দিক থেকে গ্রিন কফির রয়েছে অনেক উপকারিতা। এটি শরীরের অতিরিক্ত মেদ ঝরাতে দ্রুত কাজ করে। এছাড়াও বিপাক ক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করে। এর সেবনে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যেমন মজবুত হয়, তেমনি শরীরের বিষাক্ত উপাদানও দূর হয়। এটি ডায়াবেটিস, হৃদরোগ এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি থেকে রক্ষা করতেও কাজ করে।
ওজন কমানোর জন্য আপনি দিনে দু' বার করে গ্রিন কফি পান করতে পারেন। খাবার খাওয়ার এক ঘণ্টা আগে গ্রিন কফি পান করুন। তারপর এক ঘণ্টা কিছু খাবেন না। এতেই ঝরবে মেদ।
গ্রিন কফির বীজ ব্যবহার করলে, আগের দিন রাতে জলে ভিজিয়ে রাখুন। সেই জল পরদিন সকালে একটু ফুটিয়ে নিয়ে পান করুন। আর যদি গ্রিন কফির গুঁড়ো ব্যবহার করেন তাহলে যে ভাবে ব্ল্যাক কফি তৈরি করে অর্থাৎ লিকার হিসাবে তৈরি করে খেতে পারেন।
খুব বেশি পরিমাণে গ্রিন কফি পান করবেন না। এর প্রভাব আপনার রক্তে শর্করার মাত্রার ওপর পড়তে পারে। খুব বেশি কমে যেতে পারে ব্লাড সুগার লেভেল। আপনি এক থেকে দু' মাস টানা এই গ্রিন কফি খেতে পারেন। তাতে অনেকটা পরিমাণে ওজন কমে যাবে আপনার।