হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্যের জন্য ভাল: এফডিএ অনুসারে, কালো এবং সবুজ চা হৃৎপিণ্ডের জন্য স্বাস্থ্যকর। এগুলি প্রাকৃতিক উদ্ভিদের যৌগসমৃদ্ধ হয় যা হৃদরোগ কমানোর জন্য সুপরিচিত। এটি প্রমাণিত হয়েছে যে নিয়মিত চা পানকারীদের মধ্যে হৃদরোগের হার কম হয়।
ব্যাপকভাবে খাওয়া পানীয়: টি অ্যাসোসিয়েশন অফ আমেরিকা, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার মতে, জলের পর চা সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত পানীয়ের তালিকায় দ্বিতীয়। গবেষণার মতে, চা একটি স্বাস্থ্যকর পানীয়, কারণ এটি কার্ডিওভাসকুলার রোগ, কিছু ধরনের ক্যান্সার, টাইপ ২ ডায়াবেটিস এবং নিউরোডিজেনারেটিভ রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
জলের মতো হাইড্রেটিং: চা সম্পর্কে আরেকটি আকর্ষণীয় সত্য হল, এটি ৯৯ শতাংশেরও বেশি জল। আর তাই হাইড্রেটিং পানীয় হিসাবে চা পান করা যায়।
যে পরিমাণ চা খাওয়া উচিত: বিশেষজ্ঞদের মতে, একজন প্রাপ্তবয়স্কের দিনে ২ থেকে ৩ কাপ চা খাওয়া উচিত। এটি সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে এবং বার্ধক্য প্রক্রিয়া রোধ করার জন্য আদর্শ। যদিও, খালি পেটে চা খাওয়া থেকে উচিত নয়।
কম ক্যালোরিযুক্ত পানীয়: যখন আমরা চায়ের ক্যাফিন সামগ্রী সম্পর্কে কথা বলতে থাকি, আমরা প্রায়শই উল্লেখ করতে ভুলে যাই যে এতে খুব কম ক্যালোরি এবং শূন্য শর্করা থাকে। যদি আমরা গবেষণায় যাই, চিনি ছাড়া ১ কাপ কালো চায়ে মাত্র ৩ ক্যালোরি থাকে। অন্যদিকে যখন চিনিযুক্ত দুধ চায়ের মধ্যে প্রায় ৩৭ ক্যালোরি থাকে।
চা খাওয়ার সঠিক সময়: যদিও অনেকেই বেড টিয়ের ধারণাটি অনুসরণ করেন, তবে, বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন যে চা পান করার উপযুক্ত সময় হল সকালের ব্রেকফাস্টের সময়। কারণ এটি আপনাকে সারা দিনের জন্য শক্তি যোগাতে সাহায্য করে। তাই আপনার ব্রেকফাস্টের ২০ মিনিট পর হবে চা খাওয়ার সেরা সময়।
ব্রকলি বা আঙ্গুরের মতো স্বাস্থ্যকর: এটি অনেকের কাছে অদ্ভুত মনে হতে পারে। তবে এটি প্রমাণিত হয়েছে যে চায়ে ব্রকলির মতো স্বাস্থ্যকর যৌগ রয়েছে। যদি আমরা ইউএসডিএ দ্বারা পরিচালিত একটি গবেষণাযর দিকে খেয়াল করি, তাহলে ১ কাপ কালো চায়ে ১৭০ মিলিগ্রাম ফ্ল্যাভোনয়েড থাকে। যেখানে ১ কাপ ব্রকোলিতে তার পরিমাণ প্রায় ৩ মিলিগ্রাম।