গরম ভাত আর ডাল হলে বাঙালির অন্য কিছুই আর প্রয়োজন পড়ে না। গরিবের পেট ভরে এই একমুঠো ভাত-ডালে। গরম ভাতে একটু ঘি-লেবু আর ডাল দিয়ে খেতে সকলেই খুব ভালবাসেন। ডাল যেমন প্রোটিনে ভরপুর তেমনই সহজপাচ্য
আর তাই ডাল খুব সহজে হজম করা যায়। সকলেরই উচিত রোজ একবাটি করে ডাল খাওয়া। নিয়মিত ভাবে ডাল খেলে শরীর ভাল থাকবে সেই সঙ্গে শরীরে কোনও সমস্যাও আসবে না। যাঁরা ডায়েট করছেন তাঁরাও রোজ একবাটি করে ডাল খেতে পারেন
ডাল সেদ্ধ, ডালের বড়া গরম ভাতে এসব খেতে বেশ লাগে। আবার ডালের মধ্যে সবজি দিয়ে অনেক রকম তরকারিও বানানো হয়। আজ রইল দারুণ স্বাদের একটি রেসিপি। এই রেসিপি গরম ভাতে যেমন খেতে ভাল লাগবে তেমনই চা-কফির সঙ্গেও দুর্দান্ত লাগবে
২০০ গ্রাম মুসুর ডাল জল দিয়ে ভাল করে ধুয়ে নিয়ে ২০ মিনিট ভিজিয়ে রাখতে হবে। এবার মিক্সিতে ডাল, আলু, আদা, কাঁচালঙ্কা দিয়ে বেটে নিতে হবে। একটা মিহি পেস্ট হবে। এর মধ্যে ২ হাতা সেদ্ধ চালের গুঁড়ি, ২ চামচ কর্নফ্লাওয়ার, ১ চামচ হলুদ, ১ চামচ লঙ্কা গুঁড়ো, ১ চামচ জিরে গুঁড়ো, ১ চামচ নুন আর চাটমশলা মিশিয়ে দিতে হবে
সামান্য গোলমরিচ, হিং, কালোজিরে, সামান্য গরম মশলা দিয়ে আবারও সব মিশিয়ে নিতে হবে। এই মিশ্রণটা ১৫ মিনিট ঢাকা দিয়ে রেখে দিতে হবে। খুব সামান্য বেকিং পাউডার এর মধ্যে মিশিয়ে দিতে হবে
এবারেই আসল চমক। একটা সুজি বা ময়দার প্যাকেটে ব্যাটার ভরে দিতে হবে। অন্যদিকে একটা ছোট প্লাস্টিকের বোতল নিয়ে এর ছিপিতে একটা গোল ছিদ্র করে দিতে হবে। প্লাস্টিকের মধ্যে ব্যাটার ভরে এক কোনায় ছোট ছিদ্র করুন। এবার তা দিয়ে বোতলে ব্যাটার ভরুন
যেহেতু এই ব্যাটার একটু মোটা তাই সরাসরি বোতলে ভরতে অসুবিধে হবে। যে কারণে এভাবে ছিদ্র করে রেখে তবেই ভরবেন বোতলে। কড়াইতে সাদা তেল গরম করে নিন। আঁচ কমিয়ে তেলের মধ্যে অল্প অল্প ব্যাটার দিন কুরকুরের আকারে। আঁচ কমিয়ে ৫ মিনিট ধরে ভাজুন
একদম খাস্তা মুচমুচে করে ভাজা হবে। বোতলের সাহায্য নিলে দারুণ শেপও আসবে মুসুর ডাল দিয়ে খুব সহজেই বাড়িতে বানিয়ে নিতে পারবেন এই স্ন্যাকস। এয়ার টাইট কন্টেনারে ১০-১৫ দিন পর্যন্ত তা খুব ভাল থাকবে। চা-কফির সঙ্গে খেতে খুবই ভাল লাগবে এই মুচমুচে স্ন্যাকস