ঠাকুমা-দিদিমারা সেই সময়ে রূপচর্চায় এত সময় দিতেন না তবুও তাঁদের ত্বক থাকত টানটান। মুখে কোনও রকম দাগছোপ থাকত না।
চুল পাকতে অনেক সময় লেগে যেত। তখন যে শ্যাম্পুর প্রচলন ছিল এমনটাও কিন্তু নয়। পুকুড় পাড়ের কাদামাটি আর রিঠা, শিকাকাই এসব দিয়েই তাঁরা শ্যাম্পুর প্রয়োজন মেটাতেন।
এখন সকলেই তাঁদের ত্বক নিয়ে সচেতন। আর তাই প্রথম থেকে ফেসিয়াল, স্ক্রাবিং, ব্লিচিং কিছু না কিছু চলতেই থাকে।
আর এতেই সমস্যা হয় বেশি। অতিরিক্ত কেমিক্যালের প্রয়োগে ত্বক বয়সের থেকে আগে বুড়িয়ে যায়। ত্বক কুঁচকে যায় ত্বকের সেই লাবণ্য থাকে নাা।
তাই বাড়িতে একটা কাঁঠালি কলা দিয়েই সারুন এই ফেসিয়াল। এতে ত্বক অনেক বেশি ঝকঝকে হবে। কলার মধ্যে অ্যান্টি এজিং গুণ, ভিটামিন, খনিজ অনেক বেশি পরিমাণে থাকে।
একটা কলা ছাড়িয়ে নিয়ে গ্রেট করে নিন। এতে কলা আলাদা করে বাটার প্রয়োজন পড়ে না। এর মধ্যে এক চামচ চালগুঁড়ো, একচিমটে হলুদ, হাফ চামচ মধু মিশিয়ে একটা ফেসপ্যাক বানিয়ে নিন।
এই প্যাক খুব ভাল স্ক্রাবিং এর কাজ করে। ফলে ত্বকে একটা পলিশিং এফেক্ট পাওয়া যায়। এবার মুখ ভাল করে জল দিয়ে ধুয়ে নিন শুকিয়ে গেলে।
এবার বাকি গ্রেট করা কলা, একটা ভিটামিন ই ক্যাপসুল আর এক চামচ মধু খুব ভাল করে মিশিয়ে নিন। এই প্যাক দিয়ে মুখ খুব ভাল করে ম্যাসাজ করুন ১০ মিনিট। এবার জল দিয়ে ভাল করে মুখ ধুলেই কাজ হয়ে যাবে।