দিল্লি হোক বা মুম্বই খাওয়ার ব্যাপারে কলকাতাকে টেক্কা দেয় কার সাধ্যি। চলছে রমজান মাস। আর এই রমজানে কলকাতার জাকারিয়া স্ট্রিটের ছবিটাই হয়ে যায় অন্যরকম।
খাদ্য রসিক মানুষরা বটেই, দলে দলে ফুড ব্লগার, ইউটিউবাররাও এখন রমজানে ভিড় জমান এই জাকারিয়া স্ট্রিটে। এমনকী বাংলাদেশ থেকেও ব্লগাররা এসে হাজির হন এখানে। ইউটিউব জুড়ে এখন শুধুই জাকারিয়া স্ট্রিটের ভিডিয়ো।
নাখোদা মসজিদ, রবীন্দ্র সরণি, চিৎপুর এলাকা বিকেল থেকেই জমজমাট থাকে এই সময়। জাকারিয়া স্ট্রিট বলতেই মাথায় আসে অ্যাডামস কাবাব, আল বাইক, তসকিন ও দিল্লি সিক্স। হালিম থেকে শুরু করে কাবাব, ব্রেড, ডেজার্টের স্বর্গরাজ্য হল এই জাকারিয়া।
১৬০ বছরের পুরনো অ্যাডামসে এসে অবশ্যই একবার চেখে দেখবেন সুতা কাবাব ও বোটি কাবাব। আল বাইকে এসে একবার অবশ্যই অর্ডার দিন চিকেনের স্পেশ্যাল কাবাব এবং চিকেন মালাই কাবাব।
নাখোদা মসজিদের আশপাশেই ফুটপাথ জুড়ে রয়েছে হালিমের দোকান। নামে হায়দরাবাদি রহালিম হলেও কলকাতার এই হালিম হায়দরাবাদকে সব সময় ১০ গোল দেবে। পাঁঠার মাংস, গম, ডাল, ঘি, আদা-রসুন বাটা, জিরে গুঁড়ো, দারচিনি, এলাচ, লবঙ্গ ও গোলমরিচের স্বাদে হালিম লা জবাব। এর উপর পাতিলেবুর রস, ধনেপাতা কাজুবাদাম আর পেঁয়াজ কুচি দিয়ে গার্নিস করা থাকে।
তবে শহরের সেরা হালিম পাওয়া যায় ওয়াটার লু স্ট্রিটের আলিয়াতে। ৭৫ বছর ধরে কলকাতায় সেরা হালিমের ঠিকানা এই আলিয়া। খাঁটি স্যাফরন আর তুলতুলে মাটন হল এখানকার হালিমের ইউএসপি। এক প্লেটের দাম ৭০-৭৫ টাকা।
কলুটোলা থেকে বলাই দত্ত স্ট্রিট ধরে ডাইনে বেঁকে জাকারিয়ার মুখে এগোতেই স্পেশাল বাখরখানির ঠিকানা । ৮০ টাকার শুকনো, ফুরফুরে, প্রকাণ্ড গোলাকার দুধে ভিজিয়ে ব্রেকফাস্টের মাওয়াঠাসা রুটি। ১০ দিন তাজা থাকবে বাখরখানি। এছাড়াও চকোলেট, স্ট্রবেরির স্বাদে ফিরনি চেখে দেখতে ভুলবেন না।
রমজানে মাসে কলকাতার বিরিয়ানি ভুললে চলে কি করে। আলু, মাটন দেওয়া কলকাতার বিরিয়ানির সঙ্গে অন্য কোনও কিছুর তুলনা চলে না। জাকারিয়া স্ট্রিট থেকে শুরু করে আমিনিয়া, আর্সালান, ইন্ডিয়া রেস্টুরেন্ট বা সিরাজ- বিরিয়ানি তো খেতেই হবে।