শীতের সবজির মধ্যে অন্যতম হল বাঁধাকপি, ফুলকপি। সেই অক্টোবর মাস থেকে শুরু হয়েছে ফুলকপি খাওয়া। এবার শেষের পথে ফুলকপি। ফুলকপি চিংড়ি, ফুলকপির রসা, চিলি ফুলকপি কত কিছুই না খাওয়া হল
এখনকার ফুলকপি খেলে গ্যাস বেশি হয়। অনেকেই হজম করতে পারে না ঠিক করে। মাছে-তরকারি অনেক খাওয়া হল। এবার বানিয়ে খান ফুলকপির নতুন এই রেসিপি। খেতে তো ভাল লাগবেই আর খাওয়ার পর হাত চাটবেনই
দেখে নিন কী করে বানাবেন এই ফুলকপি পোড়া। যেভাবে বেগুন পোড়া বানান সেভাবেই বানিয়ে ফেলুন ফুলকপি পোড়া। যে জালিতে বেগুন পোড়া হয় সেই জালিতেই ফুলকপি পুড়ে নিতে হবে। গ্যাস সিমে জ্বালিয়ে রাখুন
ফুলকপির গায়ে আগে থেকে তেল মাখিয়ে নিতে হবে। ফুলকপি ৫ মিনিট ধরে ভাল করে পুড়িয়ে নিতে হবে। এবার গ্যাস অফ করে দিন
কড়াই বসিয়ে তাতে সরষের তেল গরম করে গোটা জিরে, কাঁচালঙ্কা কুচি দিন। ভাজা হলে পেঁয়াজ কুচি ১ বাটি দিয়ে নাড়াচাড়া করে নিতে হবে। পেঁয়াজ ভাজা হলে একটা বড় সাইজের টমেটো কুচি দিয়ে ভেজে নিতে হবে
টমেটো নরম হলে আদা বাটা, রসুন বাটা দিতে হবে। কষিয়ে নিয়ে একবাটি মটরশুঁটি এর মধ্যে দিয়ে দিতে হবে। এর কাঁচা গন্ধ গেলে হলুদ গুঁড়ো, লঙ্কা গুঁড়ো, জিরে গুঁড়ো, ধনে গুঁড়ো দিয়ে চাট মশলা দিন। স্বাদমতো নুন দিন
অল্প জল দিয়ে ভাল করে কষিয়ে নিতে হবে। এক চামচ চিনি দিলে খেতে ভাল লাগে। ২ চামচ ফেটানো টকদই দিয়ে আবারও কষিয়ে নিতে হবে। কসৌরি মেথি হাতে ঘষে দিয়ে দিন ফুলকপির মধ্যে। এবার এক গ্লাস জল দিন
৫ মিনিট মত নেড়েচেড়ে ফুটিয়ে একটু ধনেপাতা কুচি মিশিয়ে নিতে হবে। ফুটে ঘন হয়ে এলে ফুলকপির ফুল আলাদা করে নিয়ে তা গ্রেটারে গ্রেট করে নিতে হবে। খুব মিহি করে গ্রেট করে নিয়ে তা মশলার মধ্যে মিশিয়ে নিন। ১ চামচ গরম মশলা ছড়িয়ে দিন। ভাল করে মেশালেই তৈরি। এই রান্নাটি ঢাকা দিয়ে হবে আর কোনও জল পড়বে না। উপর থেকে এক চামচ সরষের তেল ছড়িয়ে দিন