গরম ভাতে কলমি শাক ভাজা খেতে দারুণ লাগে। পেঁয়াজ, রসুন দিয়ে ভাজা কলমির স্বাদই আলাদা। সঙ্গে আবার চিংড়ি মিশলে তো কথাই নেই।
ঘটি-বাঙাল আর ইলিশ-চিংড়ি নিয়ে যতই মতবিরোধ থাক না কেন কুমড়ো, ঢ্যাঁড়শ, ঝিঙে, লাউ যে কোনও কিছুর সঙ্গেই চিংড়ি মিশলে দারুণ লাগে খেতে।
চিংড়ির মালাইকারি, ডাব চিংড়ি, পোস্ত চিংড়ি, চিংড়ি ভাপা এসব তো হামেশাই খান। আবার চিংড়ি দিয়ে কুমড়ো, পটলের স্বাদ আলাদা। গরম ভাতে মেখে খেতে দারুণ লাগে। এবার বানিয়ে নিন কলমি চিংড়ি
মাঝারি সাইজের চিংড়ি মাছ ধুয়ে নুন হলুদ মাখিয়ে হালকা করে ভেজে রাখুন। এরপর পেঁয়াজ কুচি, রসুন, ধনে-জিরে-হলুদ-লঙ্কা গুঁড়ো মিশিয়ে দিন।
এবার জল দিয়ে কষতে থাকুন। এবার দুটো কাঁচা লঙ্কা ফেলে দিন। বেশ ভাল করে ফুটতে শুরু করলে আগে থেকে ধুয়ে কেটে পরিষ্কার করে রাখা কলমি শাক দিন।
এই তরকারি বানাতে কিন্তু একদম কচি কলমি শাক লাগে। শাক খুব ভাল করে ধুয়ে জল ঝারিয়ে তবেই দেবেন। শাক দেওয়ার পর কোনও রকম জল দেবেন না।
পুরো রান্নাটা ঢাকা দিয়ে হবে। ভাপেই শাক থেকে জল ছাড়বে। অল্প আঁচে ঢাকা দিয়ে রান্না করুন যতক্ষণ না জল শুকিয়ে আসে।
জল প্রায় শূন্য হয়ে এলে তখন বন্ধ করে দিন। নামানোর আগে নুন চেখে নেবেন। প্রয়োজন হলে অবশ্যই দেবেন। গরম ভাতে দারুণ লাগে এই কলমি চিংড়ি। তবে শাক যেন একদম পরিচ্ছন্ন থাকে সেইদিকে নজর রাখুন।