ঘড়ি পড়া অনেকের শখ। আবার রোজের প্রয়োজনে হাতে ঘড়ি পড়ি কম-বেশি আমরা সকলেই। কারও পছন্দ চেন দেওয়া ঘড়ি তো কারও আবার পছন্দ চামড়ার ব্রাণ্ড।
তবে এই চামড়ার ব্রাণ্ডের কিন্তু আছে নানা ধরন, রকমফের। গরুর চামড়া থেকে কুমিরের চামড়া, নানা পশুর চামড়া ব্যবহার করা হয় যা শুনলে আপনিও চমকে উঠবেন।
ফুল গ্রেন লেদার - গরু, ক্যাঙ্গারু বা অন্য যেকোন প্রাণীর চামড়া থেকে তৈরি করা হয় এই ফুল গ্রেন লেদার। চুলের ঠিক নীচের অংশে যে চামড়া থাকে, সেই অংশ থেকে চামড়া নিয়ে বানানো হয় এই লেদার। এই লেদার শক্তিশালী এবং টেকসই। প্রক্রিয়াকরণের সময় চুল সরানো হলে, চামড়ার প্রাকৃতিক প্যাটার্ন দেখতে পাওয়া যায়। এই ধরনের চামড়া ঘাম বা ময়শ্চার খুব ভালো প্রতিরোধ করে, ফলে আরও টেকসই হয়।
কাফ স্কিন লেদার - সাধারণত বাছুরের চামড়া থেকে তৈরি করা হয় এই ধরনের লেদার। কোমল, সূক্ষ্মদানা হওয়ার কারণে এই ধরনের চামড়ার চাহিদা বেশি। এই লেদারের ঘড়ি হাতে পড়লে স্বাছন্দ্য বোধ হয়। সেই সঙ্গে টেকসই হওয়ার কারণে এর দর বেশি।
অ্যালিগেটর লেদার - নাম শুনেই বুঝতে পারছেন কুমিরের চামড়া থেকে তৈরি করা হয় বিশেষ এই ধরনের লেদার। টেকসই, ব্যয়বহুল এই লেদার অনন্ পশুদের চামড়া থেকে তৈরি লেদারের তুলনার বেশি শক্ত হয়। চকচকে প্রাকৃতিক এনামেল এবং বিশেষ আকারের আঁশের জন্য কেবল ঘড়ি ব্রাণ্ড হিসাবেই নয়, আরও নানা ফ্যাশন সামগ্রী বানাতেও এই চামড়া ব্যবহার করা হয়।
সোয়েড চামড়া - বিশেষ এই ধরনের চামড়া তৈরি করা হয় পশুর চামড়ার নিচের দিক থেকে। অত্যন্ত কোমল হওয়ায় এই চামড়ার চাহিদা রয়েছে। সোয়েড সাধারণত ভেড়ার চামড়া থেকে তৈরি করা হয়। তবে অনেক সময় ছাগল, শূকর, বাছুর এবং হরিণ সহ অন্যান্য ধরণের প্রাণীর চামড়াও ব্যবহার করা হয়।
র্যালি লেদার - বিশেষ এই লেদার স্ট্র্যাপগুলি ১৯৭০-এর দশকে প্রথম বাজারে আসে। রেসিং গাড়ির ডিজাইন থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এই চামড়া তৈরি করা হয়। ঘড়িতে সবচেয়ে বেশি এই ধরনের চামড়া ব্যবহার করা হয়। বিশেষ করে ক্রোনোগ্রাফ ঘড়ির জন্য এই চামড়া ডিজাইন করা হয়। চামড়ার সঙ্গে সিলিকন বা নাইলনের মতো উপকরণ মিশিয়ে এই ধরনের স্ট্র্যাপ তৈরি করা হয়।
পাইনাপেল লেদার - আনারস গাছের পাতা থেকে তৈরি করা হয় এই বিশেষ ধরনের লেদার। আনারস গাছের পাতা থেকে পিনাটেক্স নামক এক বিশেষ ফাইবার তৈরি করা হয়। যা অনেকটা চামড়ার মতো উপাদান।