গলার সামনের দিকে থাকা প্রজাপতি আকারের হরমোন গ্রন্থি থাইরয়েড। এখান থেকে ট্রাইয়োডোথাইরোনিন ও থাইরক্সিনের দুটো হরমোন নিঃসৃত হয়। মানুষের বুদ্ধি, বিকাশ এবং শারীরবৃত্তীয় নানা কাজের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এই থাইরয়েড হরমোন। যখনই এই হরমোনের নিঃসরণ কম বা বেশি হয় তখন শরীরে নানা সমস্যা দেখা দেয়।
প্রয়োজনের তুলনায় কম থাইরয়েড হরমোন উৎপন্ন হলে তাকে হাইপোথাইরয়েডিজম বলে। অন্যদিকে, বেশি থাইরয়েড হরমোন উৎপন্ন হলে মানুষ হাইপারথাইরয়েডিজমে আক্রান্ত হয়। থাইরয়েডের সমস্যা দেখা দিলে রোজ ওষুধ খেয়ে যেতেই হয়।
সাধারণত থাইরয়েডের সমস্যা দেখা দিলে তার কিছু লক্ষণ শরীরে প্রকাশ পায়। অতিরিক্ত ওজন বেড়ে যাওয়া, ওজন কমে যাওয়া, শরীর ক্লান্তি, সর্দি-কাশির সমস্যা, চুল পড়ে যাওয়ার মতো দেখা দেয়।
থাইরয়েডের সমস্যায় রোজ ওষুধ খেয়ে যেতে হবে। এর পাশাপাশি লাইফস্টাইলের দিকে নজর দেওয়াও জরুরি। ফুলকপি, বাঁধাকপি, ব্রকোলি, সয়াবিনের মতো খাবার এড়িয়ে চলা পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞেরা। পাশাপাশি সামুদ্রিক মাছ খাওয়া উচিত নয়।
থাইরয়েডের সমস্যায় রোজের ডায়েটে ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত। ফাইবার সমৃদ্ধ ফল, শাক-সবজি, ডাল খেলেই থাইরয়েডে উপকার পাবেন। ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার শরীর থেকে সমস্ত টক্সিন বের করে দিতে সাহায্য করে।
আয়ুর্বেদের মতে, থাইরয়েডের হরমোনের ভারসাম্যকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে ধনে। বিশেষত, হাইপোথাইরয়েডিজমের ক্ষেত্রে ধনে দারুণ উপকারী। এই মশলার চা বানিয়ে খেলে আপনি হাজারো স্বাস্থ্য উপকারিতা পেতে পারেন।
এক গ্লাস গরম জলে এক চামচ গোটা ধনে ভিজিয়ে দিন। এটা সারারাত রাখতে হবে। পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে এই চায়ে চুমুক দিন। এতে মধু মিশিয়েও খেতে পারেন। এতে থাইরয়েডের লক্ষণগুলো কমে যাবে।
ধনের মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন এ, সি ও কে রয়েছে রয়েছে। এই পানীয় ক্লান্তি দূর করবে এবং থাইরয়েডের কারণে বৃদ্ধি হওয়া ওজনকে নিয়ন্ত্রণে রাখবে। পাশাপাশি এই পানীয় হজম ক্ষমতা বাড়াবে।