শরীরের জন্য খুবই উপকারী হল সবজি। রোজ তাই একবাটি করে সবজি খেতে বলেন বিশেষজ্ঞরা। সলজির মধ্যে থাকে প্রয়োজনীয় খনিজ, আয়রন, পটাশিয়াম, ভিটামিন। যা শরীরে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়ায়। শরীরে পুষ্টির চাহিদা মেটায়।
অনেকে সবজি খেতে পছন্দ করেন আবার অনেকে পছন্দ করেন না। তবুও সবজি পছন্দ না হলেও খেতে হবে। কারণ শরীরের জন্য তা প্রয়োজন। এমন কিছু সবজি আছে যা পরিমাণে খেতে হবে। তার তুলনায় বেশি খেলেই বিপদ।
এই তালিকায় প্রথমেই রয়েছে ফুলকপি। ফুলকপি বেশি পরিমাণে খেলে সেখান থেকে গ্যাস, অম্বলের সম্ভাবনা থেকে যায়। কারণ ফুলকপি থেকে গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যা অনেক বেশি হয়। ফুলকপির মধ্যে থাকে রাইফনোজ। যা হজমে সমস্যা তৈরি করে। তাই ফুলকপি একেবারেই বেশি খাওয়া ঠিক নয়।
আজকাল অনেকেই বলেন যে ওজন কমাতে সবচাইতে ভাল হল বিট। তবে বিটের মধ্যে ক্যালোরি বেশি থাকে। বিট দিলেই যে কোনও তরকারি লাল হয়ে যায়। যে কারণে বিট কম খাওয়াই ভাল। বিট বেশি খেলে প্রস্রাবের রং লাল হয়ে যায়।
বিটা ক্যারোটিনের খুব ভাল উৎস হল গাজর। গাজরের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। গাজর খেতে মিষ্টি আর এর মধ্যে শর্করাও বেশি থাকে। তাই ডায়াবেটিসের রোগীদের কখনই কাঁচা গাজর খাওয়া একেবারে ঠিক নয়।
আজকাল অনেকেই মাশরুম খান। বিশেষত নিরামিষ ভোজীরা। মাশরুমের মধ্যে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন থাকে। থাকে ভিটামিন ডি। এছাড়াও মাশরুম অত্যন্ত সুস্বাদু। শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি মেটায়। তবে রোজ রোজ মাশরুম খাওয়া ঠিক নয়। কী মাশরুম খাচ্ছেন তা দেখে নিয়ে খাওয়া উচিত।
ব্রকোলির মধ্যে থাকে অনেকটা পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। শরীরের জন্যেও বেশ ভাল। তবুও ব্রকোলি রোজ খাবেন না। যাদের থাইরয়েড রয়েছে তাদের তো একেবারেই খাওয়া উচিত নয়। ব্রকোলির মধ্যে হাই প্রোটিন থাকে। আর বেশি প্রোটিন কিন্তু শরীরের ক্ষতি করে। এমনকী হতে পারে অ্যালার্জির সমস্যাও।