বাসি খাবার শুনলেই আমরা নাক সিঁটকোই। কারণ বাসি খাবার খেলেই বাড়ে পেটের সমস্যা। সেই সঙ্গে গ্যাস, অম্বল তো অবধারিত। আর বাসি ভাত যদিও জল দিয়ে খাওয়া যায় বাসি রুটি, পাঁউরুটি তো চলবেই না।
একদিক থেকে একথা ঠিক যে বাসি খাবার এড়িয়ে যেতে পারলেই ভাল। কারণ এর মধ্যে কোনও রকম খাদ্যগুণ থাকে না। তবে এ যেন উলটপুরাণ।
বাসি রুটি খেয়েই পেটের সমস্যা সারানো যাবে। শরীরও থাকবে সুস্থ। তবে আগের রাতে রুটি বেঁচে গেলে আর তা যদি ফ্রিজে থাকে তবেই কিন্তু খাওয়া যাবে। বাইরে থেকে টকে গেলে চলবে না
যারা প্রায়শই পেটের সমস্যায় ভোগেন তাদের জন্য খুব ভাল এই বাসি রুটি। ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে ঠান্ডা দুধের সঙ্গে বাসি রুটি খেতে পারেন। দুধ চায়ের সঙ্গেও বাসি রুটি ভাল লাগে কিন্তু তা খাওয়া ঠিক নয়।
তবে ঠান্ডা দুধে রুটি খেলে গ্যাস-অম্বলের সমস্যা অনেকটাই মিটে যায়। রুটির মধ্যে ফাইবার থাকে আর তা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। তাই বাসি রুটি খাওয়া যেতেই পারে।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতেও কার্যকরী রুটি। রক্তচাপ বাড়লে একাধিক সমস্যা আসে। অন্য রোগও জাঁকিয়ে বসে। যে কারণে প্রেসারের রোদীদের ব্রেকফাস্টে রুটি খেতে বলা হয়।
রুটির মধ্যে ফাইবার থাকে। যয়ে কারণে অনেকক্ষণ পর্যন্ত পেট ভরা থাকে আর খিদেও বিশেষ পায় না। তাই খাবারে লাগাম টানা যায়। আর লোভ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলে ওজন কমবেই।
বাসি রুটিতে ভাল পরিমাণ ভিটামিন থাকে। থাকে ম্যাগনেশিয়াম। তাই যাদের হাঁপানির সমস্যা রয়েছে তারা রোজ রুটি খান। অনেক উপকার পাবেন।