Rishabh Pant: ‘ড্রাইভারের সঙ্গে যাবে’, নিজের জীবন থেকে শিক্ষা নিয়ে তরুণদের বার্তা পন্থের

India vs Bangladesh: ভয়াবহ গাড়ি দুর্ঘটনা পর নতুন জীবন পেয়েছেন ঋষভ পন্থ। তারপর ২২ গজে ফিরে এখন দাপট দেখাচ্ছেন তিনি। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে সেঞ্চুরিও করেছেন। ম্যাচ শেষে পন্থকে তরুণদের উদ্দেশ্যে গাড়ি চালানো নিয়ে বার্তা দিতে বলা হয়। সেখানেই গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেন পন্থ।

Rishabh Pant: 'ড্রাইভারের সঙ্গে যাবে', নিজের জীবন থেকে শিক্ষা নিয়ে তরুণদের বার্তা পন্থের
Rishabh Pant: 'ড্রাইভারের সঙ্গে যাবে', নিজের জীবন থেকে শিক্ষা নিয়ে তরুণদের বার্তা পন্থেরImage Credit source: PTI
Follow Us:
| Updated on: Sep 22, 2024 | 3:09 PM

কলকাতা: দ্বিতীয় জীবনটা ভালোই কাটাচ্ছেন ঋষভ পন্থ (Rishabh Pant)। যখনই তিনি সেরা ইনিংস খেলেন, ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানান। তাঁকে জীবনে দ্বিতীয় সুযোগ দেওয়ার জন্য। ২০২২ সালের ৩০ ডিসেম্বর ভয়াবহ গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিলেন ঋষভ। নিজে গাড়ি চালিয়ে নতুন বছরে মাকে সারপ্রাইজ দেওয়ার জন্য বাড়ি যাচ্ছিলেন। মাঝ পথেই ঘটে যায় ভয়ঙ্কর ঘটনা। মৃত্যুর খুব কাছে পৌঁছে গিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর ভাগ্যে ছিল মৃত্যুমুখ থেকে ফিরে আসা। সেটাই হয়েছে। ওই দুর্ঘটনায় প্রচুর আঘাত পেয়েছিলেন পন্থ। একাধিক অস্ত্রোপচার হয়েছিল। সুস্থ হওয়ার পর ২২ গজে ফিরে এখন দাপট দেখাচ্ছেন তিনি। বাংলাদেশের (Bangladesh) বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে সেঞ্চুরিও করেছেন। ম্যাচ শেষে পন্থকে তরুণদের উদ্দেশ্যে গাড়ি চালানো নিয়ে বার্তা দিতে বলা হয়। সেখানেই গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেন পন্থ।

নিজের জীবন থেকে শিক্ষা নিয়ে তরুণদের বার্তা দিয়েছেন ভারতের উইকেটকিপার ব্যাটার। তিনি বলেন, ‘জীবনটা উপভোগ করো। কিন্তু জীবনটাও গুরুত্বপূর্ণ। যতটা নিরাপদ থাকবে, ততই ভালো। আমি তো বলব কোথাও গেলে ড্রাইভারের সঙ্গে যাবে।’ আসলে জীবনে যে পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়েছে পন্থকে, তারপর তাঁর কাছে জীবনের দাম অনেক বেশি হয়ে গিয়েছে। তিনি তা নিয়ে অনেক সতর্কও হয়েছেন। তাই যখনই এই প্রসঙ্গে কথা ওঠে, তিনি সিরিয়াসলি উত্তর দেন।

চিপক টেস্টে পন্থের দুরন্ত ব্যাটিং নিয়ে আলোচনা তো চলছেই। কামব্যাক টেস্টে সেঞ্চুরি। আলোচনা হওয়াটাই স্বাভাবিক। চেন্নাই টেস্ট ভারত জেতার পর পন্থকে প্রশ্ন করা হয়, নিজের কিপিং নিয়ে কী বলবেন? উত্তরে পন্থ বলেন, ‘কী ভাবে মানিয়ে নিতে পারি, সেই চেষ্টাটাই করেছি। অনেক দিন পর টেস্টে খেললাম। দলীপ ট্রফিতে যে উইকেটকিপিং করেছিলাম, তা এখানে সাহায্য করেছে। দলীপের সময় বুঝতে পেরেছিলাম শরীর ঠিক কতটা লোড নিতে পারবে। আমি নিজের ফিটনেসে নিয়ে কাজ করেছি। ভালো খেলতে পেরে তাই ভালো লাগছে।’ এরপরই পন্থের সামনে প্রশ্ন রাখা হয় অশ্বিন না জাডেজা কাকে কিপিং করা কঠিন? সময় নষ্ট না করে পন্থ বলেন, ‘এক জনের নাম এখানে নেওয়াটা ঠিক হবে না। আসলে ওদের দু’জনকেই কিপিং করা কঠিন।’