Ranji Trophy Quarterfinal: ঝাড়খণ্ডের বিরুদ্ধে ‘এগিয়ে’ বাংলা

Ranji Trophy Quarterfinal: কোয়ার্টার ফাইনালে ঝাড়খণ্ডের বিরুদ্ধে ফেভারিট হিসেবেই নামছে বাংলা। সৌজন্যে বাংলার অনবদ্য বোলিং আক্রমণ।

Ranji Trophy Quarterfinal: ঝাড়খণ্ডের বিরুদ্ধে ‘এগিয়ে’ বাংলা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 06, 2022 | 9:53 AM

বেঙ্গালুরু: গ্রুপ পর্বের ম্যাচের পর দীর্ঘ বিরতি। আজ শুরু হচ্ছে রঞ্জি ট্রফির (Ranji Trophy) নক আউট পর্ব। কোয়ার্টার ফাইনালে (Quarterfinal) বাংলার (Bengal) প্রতিপক্ষ ঝাড়খণ্ড (Jharkhand)। দীর্ঘ বিরতিতে অনেকেই আইপিএল খেলেছেন। বাংলা অধিনায়ক অভিমন্যু ইশ্বরণ (Abhimanyu Easwaran) আইপিএলে সুযোগ না পেলেও ক্লাব ক্রিকেট এবং বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে খেলেছেন। যদিও লাল বলের সঙ্গে দীর্ঘ দিন ‘যোগাযোগ’ বন্ধ ছিল। সড়গড় হয়ে নিতে বেঙ্গালুরুতে পৌঁছে লাল বলে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছে বাংলা। নকআউটের আগে ‘ধাক্কা’ ঋদ্ধিমান সাহাকে (Wriddhiman Saha) না পাওয়া। ব্যক্তিগত কারণে গ্রুপ পর্বে খেলেননি টেস্ট দল থেকে বাদ পড়া ঋদ্ধি। বাংলার নকআউট পর্বের স্কোয়াডে তাঁর নাম ছিল। ঋদ্ধি খেলছেন না। কারণটিও প্রকাশ্যে এসেছে। বাংলা ক্রিকেটের এক শীর্ষকর্তার ‘অপমানজনক’ মন্তব্যের জেরেই বাংলার হয়ে না খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ঋদ্ধিমান। তিনি না থাকায় নকআউটেও উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান হিসেবে বাংলা একাদশে প্রথম পছন্দ ১৯ বছরের অভিষেক পোড়েল। কোচবিহার ট্রফিতে অনবদ্য খেলেছেন অভিষেক। রঞ্জিতে অভিষেকের পর সিনিয়র বাংলা দলেও অবদান রেখেছেন। অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপে ভারতের রিজার্ভ স্কোয়াডেও ডাক পেয়েছিলেন অভিষেক।

কোয়ার্টার ফাইনালে ঝাড়খণ্ডের বিরুদ্ধে ফেভারিট হিসেবেই নামছে বাংলা। সৌজন্যে বাংলার অনবদ্য বোলিং আক্রমণ। তিন পেসার মুকেশ কুমার (১৫ উইকেট), ঈশান পোড়েল (১৪ উইকেট), আকাশ দীপ (১০ উইকেট) নিয়েছেন গ্রুপ পর্বে। রয়েছেন বাঁ হাতি স্পিন বোলিং অলরাউন্ডার শাহবাজ আহমেদ (৮ উইকেট)। আকাশ দীপ এবং শাহবাজ আইপিএলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের হয়ে খেলেছেন। শাহবাজ গুরুত্বপূর্ণ অবদানও রেখেছেন। তবে ব্যাটিং অর্ডারে তিন নম্বর পজিশন নিয়ে মাথাব্যথা রয়েছে বাংলার। সুদীপ চ্যাটার্জি কিংবা অভিষেক রমনের মধ্যে কোনও একজনকে বেছে নিতে হবে। তেমনই পেস বোলিং অলরাউন্ডার সায়ন শেখর মন্ডল এবং স্পিন বোলিং অলরাউন্ডার ঋত্বিক চ্যাটার্জিকে নিয়েও ভাবনা বাংলা শিবিরে।

ব্যাটিং বিভাগে কিছুটা চিন্তা অধিনায়ক অভিমন্যু ঈশ্বরণের ছন্দ। গ্রুপ পর্বে ৬ ইনিংসে মাত্র একটি অর্ধশতরান অভির। সর্বাধিক ২৪২ রান করেছেন অভিজ্ঞ অনুষ্টুপ মজুমদার। তবে মিডল ও লোয়ার অর্ডার কিছুটা অবদান রাখায় সব গ্রুপের মধ্যে সেরা হয়ে নকআউটে পৌঁছেছে বাংলা। তরুণ উইকেটরক্ষক অভিষেক পোড়েলের ব্যাটিং ভরসা দিয়েছে। ঝাড়খণ্ড দলে কুমার দেওব্রত, কুমার কুশাগ্র, বিরাট সিংয়ের মতো দক্ষ ক্রিকেটাররা থাকলেও, মাঠের বাইরে এগিয়ে বাংলাই।

ম্যাচের আগে বাংলার প্রধান কোচ অরুণ লাল বলেছেন, ‘খুব ভালো প্রস্তুতি হয়েছে। আমি আত্মবিশ্বাসী, সেরাটা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত আমার দল। সে কারণেই আমরা ১০ দিন আগে পৌঁছেছি, যাতে লাল বলের মেজাজে ফিরতে পারে ছেলেরা। এখান কার পিচে বাউন্স বেশি। মানিয়ে নিতে শুরুতে কিছুটা সমস্যা হচ্ছিল।’