IPL 2022: পন্থের দিল্লির বিরুদ্ধে নামার আগে কী চলছে নাইট শিবিরে, তুলে ধরলেন রসিখ সালাম দার

Rasikh Salam Dar: পুরনো দলের বিরুদ্ধে অভিষেক ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা কেমন হয়েছে এবং আজকের ম্যাচের আগে কী চলছে নাইট শিবিরে তুলে ধরলেন গতিতে মুগ্ধ করা কেকেআরের রসিখ সালাম দার।

IPL 2022: পন্থের দিল্লির বিরুদ্ধে নামার আগে কী চলছে নাইট শিবিরে, তুলে ধরলেন রসিখ সালাম দার
রসিখ সালাম দারImage Credit source: KKR Twitter
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 10, 2022 | 11:00 AM

মুম্বই: কেকেআরের (KKR) জার্সিতে রোহিত শর্মার (Rohit Sharma) মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের (Mumbai Indians) বিরুদ্ধে অভিষেক হয়েছে রসিখ সালাম দারের (Rasikh Salam Dar)। আর নাইটদের হয়ে অভিষেকেই নজর কেড়ে নিয়েছেন জম্বু ও কাশ্মীরের এই তরুণ ক্রিকেটার। আজ ঋষভ পন্থের দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে পঞ্চম ম্যাচ খেলতে চলেছে শ্রেয়স আইয়ারের কলকাতা নাইট রাইডার্স। তার আগে পুরনো দলের বিরুদ্ধে অভিষেক ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা কেমন হয়েছে এবং আজকের ম্যাচের আগে কী চলছে নাইট শিবিরে তুলে ধরলেন গতিতে মুগ্ধ করা কেকেআরের রসিখ সালাম দার।

পুরনো দল মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে কেকেআরের হয়ে ডেবিউ ক্যাপ নিয়ে কেমন অনুভূতি হচ্ছিল?

রসিখ: কেকেআরের হয়ে অভিষেক ম্যাচ খেলার সুযোগ পাওয়ায় আমি ভীষণ গর্বিত বোধ করেছিলাম এবং আনন্দ পেয়েছিলাম। এবং মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে খেলে বেশ মজা পেয়েছি। আমি তিন বছর মুম্বইয়ে ছিলাম। এক বছর দলের সঙ্গে ছিলাম এবং দু’বছর নেট বোলার হিসেবে ছিলাম। আইপিএলে প্রথম ম্যাচটা মুম্বইয়ের হয়ে খেলেছিলাম আর দ্বিতীয় ম্যাচটা মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে খেললাম, বেশ ভালো লেগেছে।

নাইট জার্সিতে অভিষেক ম্যাচেই নজর কেড়ে নেওয়ার পর এত প্রশংসা পেয়ে কেমন লাগছে?

রসিখ: বেশ ভালোই লাগছে। দল আমাকে যে কারণে নিয়েছে, আমি সেটা করার চেষ্টা করেছি। বেশ ভালো ম্যাচ হয়েছিল এবং সব থেকে বড় যেটা হল আমরা ম্যাচটা জিতেছিলাম। ওটা সব থেকে ভালো ছিল।

আজ দুপুরে দিল্লির বিরুদ্ধে নামবে কেকেআর। ফলে দুপুরের খেলা বলে শিশির ফ্যাক্টর কাজে দেবে না। টস জিতলে কেকেআর কী বাছবে এবং কেন?

রসিখ: এটার উত্তরটা আমার জানা নেই সত্যি। কারণ এটা টিমের সিদ্ধান্ত। অধিনায়ক ঠিক করবেন। কিন্তু আমার মনে হয় টসে জিতলে ফিল্ডিংই বাছা দরকার আমাদের। আসলে বোলিং ও ব্যাটিং দুটোতেই আমরা বেশ শক্তিশালী। কিন্তু আমার মনে হয় দ্বিতীয় ইনিংসে একটু শিশির তো থাকবেই। তাই আমার মনে হয় প্রথমে বোলিং করলে সেটা দলের জন্য ভালোই হবে।

ব্র্যাবোনে বোলার ও ব্যাটার দুই পক্ষর জন্যই সুবিধাজনক। বোলার হিসেবে কী পরিকল্পনা থাকা দরকার ওখানে খেলার জন্য?

রসিখ: ওই স্টেডিয়ামে রান অনেক হয়। শুরুর দিকে সুইংয়ের সুবিধা নেওয়া যেতে পারে। প্রথমে বোলিং করতে পারলে ওতটা শিশির নিয়ে চাপ হবে না। তাই শেষের দিকে ইয়র্কার দিতেও সুবিধা হবে। অবশ্যই ওখানে খেলা চ্যালেঞ্জিং। কিন্তু সব জায়গাতেই কোনও না কোনও সুবিধা তো থাকেই। কোনও জায়গায় ব্যাটারদের তো কোনও জায়গায় বোলারদের।

বর্তমানে পার্পল ক্যাপের মালিক উমেশ যাদব। তাঁর মতো সিনিয়র প্লেয়ারের সঙ্গে অভিষেক ম্যাচে নিজের প্রথম স্পেলটা করার অনুভূতিটা কেমন ছিল?

রসিখ: উমেশ ভাইয়ের সঙ্গে বোলিং করার অভিজ্ঞতাটা দারুণ হয়েছে। বিশ্বমানের বোলার ও। যখনই কোনও সাহায্য প্রয়োজন হয়েছে উমেশ ভাই সব সময় সেখানে তৈরি থাকে। কামিন্স ভাই আমাকে প্রথম ম্যাচের আগে বলেছিল, যখনই কোনও সাহায্য দরকার ওকে যেন ইশারা করি। ও প্রতিটা ওভারের আগেই আমাকে বলে দিচ্ছিল এই ব্যাটারের বিরুদ্ধে কেমন বল দেওয়া দরকার। প্রথম ম্যাচে আমি যদি নার্ভাস থাকি, সেই কারণেই এতটা সাহায্য করেছে। আমাদের প্যাট ও উমেশ ভাই দু’জনই বিশ্বমানের বোলার।

উমেশ যাদব ও প্যাট কামিন্সের একটা বিশেষ জিনিস যা তুলে ধরতে চাইলে সেটা কী হবে?

রসিখ: উমেশ ভাইয়ের সব থেকে ভালো যেটা আমার লাগছে, সেটা হল যে লাইন ও লেন্থ ধরে বল দেয় উমেশ ভাই, তাতে প্রতিটা বলেই উইকেট নেওয়ার সম্ভাবনা থাকে উমেশ ভাইয়ের। প্যাটের ক্ষেত্রে যেটা বিশেষ লেগেছে ও বাউন্স ভালো পাচ্ছে, একটা জায়গায় ঠিক মতো বল দিতে থাকে। ব্যাটারদের দুর্বলতা বুঝে একই জায়গায় বার বার বল দিতে থাকে। কামিন্সের বাউন্স আমার সেরা লাগে।

ব্যাটিং করার সুযোগ পেলে রসিখে কাছ থেকেও কি ১৪ বলে হাফসেঞ্চুরি আশা করা যায়?

রসিখ: এটা তো বলতে পারব না। তবে সুযোগ পেলে চেষ্টা অবশ্যই করব। যাতে দলের সুবিধা হয়।

আজ দিল্লির বিরুদ্ধে ওয়ার্নার-শ-র বিরুদ্ধে কী রণনীতি হবে দলের?

রসিখ: ডেভিড ওয়ার্নার ও পৃথ্বী শ দু’জনই বিশ্বমানের ব্যাটার। তবে আমাদের যে পরিকল্পনা থাকবে সেটাই কাজে লাগানোর চেষ্টা করতে হবে। ওরা কেমন পারফর্ম করছে সেটা না দেখে, আমাদের পরিকল্পনামাফিক এগোতে হবে। আমি ওদের বিরুদ্ধে যে হোমওয়ার্ক করেছি, সেটা কাজে লাগানোর চেষ্টা করব।

কোচ-ক্যাপ্টেনের কাছে কোনও বিশেষ বার্তা পেয়েছেন?

রসিখ: আমি ভীষণ ভাগ্যবান বোধ করছি। কোচ ও ক্যাপ্টেন দু’জনই খুব সাপোর্ট করেছে। নেটে প্র্যাক্টিসের সময়ও সব দিনই ভালো করেছি তা নয়, কিন্তু তাতেও কোচ-ক্যাপ্টেন বাহবা দিয়েছন। কনফিডেন্স কম হওয়ার কোনও সুযোগ দেয়নি ওরা।