Rishabh Pant: ঋষভের টেস্টে ফেরার পথের কাঁটা ধ্রুব! বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কামব্যাক নাকি…
IND vs BAN: সেপ্টেম্বরে শুরু হবে ভারত-বাংলাদেশ টেস্ট সিরিজ। দীর্ঘদিন ঋষভ পন্থ লাল বলে ক্রিকেট খেলেননি। ভারতীয় ক্রিকেট মহলে আলোচনা চলছে, ১৮ মাস পর ঋষভের টেস্টে কামব্যাক হবে নাকি বাড়বে অপেক্ষা?
কলকাতা: ফেরা হয় যদি ২০২২ সালে, নজরে পড়বে ডিসেম্বরে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে শেষ টেস্টে খেলেছিলেন ঋষভ পন্থ (Rishabh Pant)। ২০২৩ সালটা বাইশ গজের বাইরে কেটেছে ভারতের উইকেটকিপার ব্যাটারের। সামনেই ভারত-বাংলাদেশ টেস্ট সিরিজ। তার আগে ভারতীয় ক্রিকেট মহলে আলোচনা চলছে, ১৮ মাস পর ঋষভের টেস্টে কামব্যাক হবে নাকি বাড়বে অপেক্ষা? দীর্ঘদিন ঋষভ পন্থ লাল বলে ক্রিকেট খেলেননি। সম্প্রতি দেশের হয়ে কেএস ভরত, ধ্রুব জুরেলকে টেস্টে উইকেটকিপিং করতে দেখা গিয়েছে। অভিষেক টেস্ট সিরিজে উইকেটের পিছনে ভালো ছন্দে ছিলেন ধ্রুব। ফলে পন্থের টেস্টে ফেরার পথে কাঁটা হতে পারেন ধ্রুব, এমনটাও অনেকেই বলছেন।
দেশের মাটিতে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজের আগে রয়েছে দলীপ ট্রফি। সেখানে খেলতে দেখা যাবে ঋষভ পন্থকে। টিম-বি-তে খেলবেন পন্থ। আর ধ্রুব জুরেলকে দেখা যাবে টিম-এ-তে। দলীপে ভালো পারফর্ম করতে পারলে পন্থের জন্য আবার ভারতের টেস্ট টিমের দরজা খুলে যেতে পারে।
ক্রীড়া ওয়েবসাইট InsideSport-কে এক সাক্ষাৎকারে বিসিসিআইয়ের এক কর্তা বলেছেন, ‘ধ্রুব জুরেলকে নিয়েই এগোবে নাকি ঋষভ পন্থকে ফের ডাকা হবে, সেই সিদ্ধান্তটা নির্বাচকরা নেবেন। আর যা নিশ্চিত ভাবে নির্ভর করবে দলীপ ট্রফির পারফরম্যান্সের উপর। দুর্ঘটনার পর থেকে ঋষভ লাল বলে ক্রিকেট খেলেনি। আর ধ্রুব সত্যিই ভালো খেলেছে।’ বোর্ড কর্তার কথা থেকেই পরিষ্কার, দলীপে ধ্রুব ও পন্থের পারফরম্যান্সের দিকে বাড়তি নজর রাখা হবে। যিনি ভালো খেলবেন, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে ভারতীয় স্কোয়াডে ঢোকার জন্য তিনি এগিয়ে থাকবেন।
ভয়াবহ গাড়ি দুর্ঘটনার পর থেকে দীর্ঘদিন জাতীয় দলের বাইরে ছিলেন পন্থ। গত আইপিএলে হয়েছিল প্রত্যাবর্তন। টি-টোয়েন্টি টিমেও ফিরেছিলেন। বিশ্বকাপও জিতেছেন। এবার টেস্ট টিমে প্রত্যাবর্তন হতে চলেছে তাঁর। প্রশ্ন হল, কিপার ধ্রুব জুরেলের কী হবে? তিনি কি বাদ পড়ে যাবেন টিম থেকে? উত্তর সময়ই বলবে।
ঋষভ পন্থের অনুপস্থিতিতে ভারতীয় টিমের হয়ে টেস্টে উইকেটকিপিং করেছেন কেএল রাহুল (২ ম্যাচে ৮টি ক্যাচ), কেএস ভরত (৭ ম্যাচে ১৮টি ক্যাচ), ঈশান কিষাণ (২ ম্যাচে ৫টি ক্যাচ) ও ধ্রুব জুরেল (৩ ম্যাচে ৫টি ক্যাচ)।